পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি খুলনা বিএনপির
পুলিশি অভিযানে বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের গত ২২ নভেম্বর খুলনা থানায় পুলিশের দায়ের করা সহিংসতা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।
খুলনা বিএনপির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি, পুলিশি অভিযানের নামে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বলা হয়েছে, অন্যথায় এর বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপরে কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
তিনি অভিযোগ করেন, সোমবার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে খুলনা থানা পুলিশ নিজস্ব এলাকার বাইরে গিয়ে রাতভর অভিযান চালিয়ে বটিয়াঘাটা থানা বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িবাড়ি গিয়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। সকালে ঘটনার বিষয়ে জানতে লবণচরা ও হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা অভিযান প্রসঙ্গে কিছু জানেন না বলে জানান। খুলনা থানা পুলিশ গত ২২ নভেম্বরের সহিংসতা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়েছে।
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা হলেন- থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফারুক হোসেন, নুরুল ইসলাম মামুন, মিজানুর রহমান মিজান, নূর ইসলাম, আহাদ, হেমায়েত হাওলাদার, আলমগীর, আনসার, আব্দুস সামাদ, জাকির হোসেন ও বাঘা।
বিএনপি নেতা তুহিন বলেন, আগামী ২৬ ডিসেম্বর জলমা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সরকার পরিষদের এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। তবে স্বতন্ত্রভাবে অনেকেই নির্বাচন করছেন, যাদের স্থানীয় পর্যায়ের বিএনপি নেতাকর্মীরা সমর্থন দিচ্ছেন। তাদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। জলমান বর্তমান চেয়ারম্যান আশিকের পক্ষে দলীয় অনেক নেতাকর্মীই কাজ করছেন। শাসক দল সমর্থিত প্রার্থীকে সুবিধা দিতেই পুলিশ প্রশাসন এমন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এ সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে সব নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হযেছে। ২৯৩ জন বিনাভোটে চেয়ারম্যান হয়েছেন। আমরা পুলিশকে সব ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের কর্মীদের বিনা কারণে নিরাপত্তাহীন করা হলে আমরা কঠোর রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
এ সময় বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- স ম আব্দুর রহমান, আজিজুল হাসান দুলু, মুর্শিদ কামাল, কে এম হুমায়ুন কবির, এহতেশামুল হক শাওন, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শামীম কবির, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, রফিকুল ইসলাম বাবু, জাহিদুর রহমান রাজু, জাকির ইকবাল বাপ্পী প্রমুখ।