সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে রিট
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে তথা বিদেশে নেওয়ার অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) এ আবেদন শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
রোববারের (১৯ ডিসেম্বর) খবর অনুযায়ী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই আছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীরের বিভিন্ন প্যারামিটার নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। সেগুলো ওপরে উঠানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কয়েক দিন ধরেই কমে যাচ্ছে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা। রক্ত কিংবা ওষুধ দিয়ে তার মাত্রা বাড়ানো হচ্ছে। অতিরিক্ত রক্তও আর দেওয়া যাচ্ছে না। এতে পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম। বরং তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে তার স্বাস্থ্যঝুঁকি ততই বেড়ে যাচ্ছে। এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশে যেতে অনুমতি দিচ্ছে না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।
গত ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তিনি লিভার সিরোসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান। এ হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন আহমেদ তালুকদারের নেতৃত্বে গঠিত ১০ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন।
গত ২৮ নভেম্বর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম চিকিৎসক ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তার পরিপাকতন্ত্রে তিনবার রক্তক্ষরণ হয়েছে।
মেডিক্যাল বোর্ড দ্রুত খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করে বলেন, তার এ চিকিৎসা শুধু বিশ্বের তিনটি দেশেই সম্ভব। এখনই চিকিৎসা দিতে না পারলে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যাবে।