শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সততা – জিয়ার সৈনিক মুখে না বলে বুকে ধারন করুন –

0

১। প্রেসিডেন্টের একজন পার্সোনাল স্টাফ এসে সাংবাদিকদের বললেন – আপনাদের কারো কাছে বাড়তি টাকা আছে। প্রেসিডেন্ট সাহেবের বিলের টাকা কম পড়েছে। ঢাকায় ফিরেই তিনি টাকা শোধ করে দিবেন। “এনা’র সাংবাদিক সৈয়দ সিরাজুল করিম ১৫০ টাকা প্রেসিডেন্টকে ধার দিলেন। ঢাকায় ফিরে প্রেসিডেন্ট জিয়া সেই ধারের টাকা শোধ করেন।
সুত্রঃ একজন জিয়া – হেদায়েত হোসেন মোরশেদ।

২। একদিন প্রেসিডেন্ট সাহেবের জরুরী তলব পেয়ে ঢাকা রওনা হলাম। মধ্যাহ্নভোজন হবে প্রেসিডেন্টের সাথে, মনে মনে খুব উত্তেজিত ছিলাম। ১-১০ মিনিটে খাবার টেবিলে গেলাম। কিন্তু খুব হতাশ হয়ে গেলাম টেবিলে পরিবেশিত লাল শাক, বেগুন ভাজা আর দুটো কই মাছ দেখে।
সুত্রঃ রণ থেকে জন – সাবেক স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।

৩। সাংবাদিক হিসেবে যতবারই বঙ্গভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছি, প্রেসিডেন্ট জিয়া আমাদের আপ্যায়িত করতেন লেবু চা আর কমদামি বিস্কুট দিয়ে।
সুত্রঃ সাংবাদিক গিয়াস কামাল চৌধুরীর সাক্ষাতকার, মৃত্যুঞ্জয়ী জিয়া পৃ ৫৮১।

৪। একদিন সকাল পৌনে ৭টায় প্রেসিডেন্টের বাসভবনে গেলাম। তিনি আমাকে ভেতরে ডেকে নিলেন। এমন সময় তাঁর নাস্তা এলো
একটি ডিম আর তিন খন্ড রুটি। তিনি আমাকে বার বার খেতে বলায় আমি ডিম ভাজা ও একখন্ড রুটি নিতে হল। ভেবেছিলাম প্রেসিডেন্টের জন আরও ডিম ও রুটি আসবে কিন্তু এলো না । তিনি অবলীলায় শুধু রুটি খেয়ে নিলেন। আমার জন্য প্রেসিডেন্টের খাওয়া হল না ভেবে খুব লজ্জিত হলাম।
সুত্রঃ জিয়াকে যেমন দেখেছি – এস আব্দুল হাকিম, সাবেক মহাপরিচালক এন এস আই।

৫। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ছোট ভাই আহমেদ কামাল পর্যটন কর্পোরেশনে চাকরি করতেন। কয়েকজনকে ডিঙ্গিয়ে তাকে উপ-পরিচালক পদে প্রমোশন দেয়ায় প্রেসিডেন্ট পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করেন – কামাল কি যোগ্যতা বলে প্রমোশন পেয়েছে? চেয়ারম্যান সাহেব আমতা আমতা করায় তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছোট ভাইয়ের প্রমোশন বাতিলের নির্দেশ দেন এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

৬। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কনিষ্ঠ ভ্রাতা মিজানুর রহমান সোনালী ব্যাংকে চাকরি করতেন। বিএনপির এক নেতা তাকে ব্যবহার করে কিছু ব্যবসা বাগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তা প্রেসিডেন্টের কানে যায়। তিনি ব্যাংকের এম ডি কে ফোন করে দশ দিনের মধ্যে ভাইকে লন্ডন শাখায় বদলীর নির্দেশ দেন।

৭। প্রেসিডেন্টের শ্যালক মেজর সাঈদ ইস্কান্দার ছিলেন ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কর্মরত। তাকে দায়িত্বে অবহেলার শাস্তি না দেয়ায় তিনি তৎকালীন মেজর জেনারেল মাহমুদ হাসানকে ডাকেন। কেন মেজর সাঈদ ইস্কান্দারকে শাস্তি দেয়া হল না সে বিষয়ে মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসানের কাছে জবাবদিহিতা চান এবং জবাব সন্তোষজনক না হলে সি ও হিসেবে মাহমুদুল হাসানকেই শাস্তি দেয়া হবে বলে দেন।

এমন প্রেসিডেন্ট নিয়ে গর্ব করতে আমাদের লজ্জা লাগে?

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com