জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর প্রেস বিজ্ঞপ্তি

0

১৯৭১ এর ২৫ মার্চ গণহত্যায় ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছিল, তখন মানুষ ছিল কিংকর্তব্যবিমূঢ়। এই সময় মেজর জিয়াউর রহমান তার অধীনস্থদের নিয়ে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলো…….। জিয়াউর রহমানই ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সূচনা। জিয়াউর রহমান মাটি, মানুষের জন্য যুদ্ধ করলেন। দেশ স্বাধীন হলো। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আজ মানুষের মাঝে আনন্দ নেই। কেননা, বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। তার সুচিকিৎসা হচ্ছে না। মানুষের অধিকার নেই। বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে কুকুর-বিড়াল মার্কা নির্বাচন করে আর ২০১৮ সালে মধ্যরাতে ভোট ডাকাতির নির্বাচন করে ক্ষমতায় আছে। অচিরেই এদের পতন হবে। জাসাস সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভুমিকা রাখবে।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনস্থ বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর আয়োজনে মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণে স্মারক বক্তৃতা এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন- পানিপথের যুদ্ধ, কারাবালার যুদ্ধ, ওয়াটার লু’র যুদ্ধের গল্প শুনতে ভালো লাগে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে জাসাস এর তরুণ কর্মীরা উদ্বুদ্ধ হবে এবং কাজ করবে বলেই এই আয়োজন। দেশে বর্তমানে ভোট নেই, নির্বাচন নেই, মানুষের অধিকার নেই। ১৯৭১ এর সময় আর বর্তমান সময়েে মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তাই, আমাদের গণতন্ত্র ফিরে আনতে হবে। এতে জাসাস ভুমিকা রাখবে।

বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানীদের কাছে ধরা দিলেন। তখন দিশেহারা এ জাতির মাঝে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন এবং যুদ্ধ করলেন। দেশ স্বাধীন হলো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিল গণতন্ত্র। কিন্তু বর্তমান সরকার গণতন্ত্র বিশ^াস করে না। ফেরাউন, মুসোলিনী, হিটলার, আইযুব কেউ টিকে নাই। বর্তমান ফ্যাসিবাদী ক্ষমতাসীনরাও টিকবে না। জাসাস সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে এদের পতনে ভুমিকা রাখবে।

সভাপতির বক্তব্যে চিত্রনায়ক হেলাল খান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানীরা গণহত্যা শুরু করলে মেজর জিয়াউর রহমান তার অধীনস্থদের সংগঠিত করে প্রথমে “উই রিভোল্ট……” ঘোষণা দিলেন ; তারপরই মহামানব জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সমসাময়িক সময়ে প্রায়াত জহির রায়হান পরিচালিত ‘‘জীবন থেকে নেয়া” সিনেমার মাধ্যমে যেমন মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল, ঠিক তেমনি আজ মানুষের মাঝে জাসাস গান, নাটক, সেমিনার, সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে বর্তমান জবর দখলকারী সরকারের দুঃশাসন তুলে ধরে গণজোয়ার সৃষ্টি করে আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে তাকে সুস্থ করে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং তারই নেতৃত্বে দেশে গণমানুষের সরকার গঠন করতে হবে। তবেই দেশের মানুষ ফিরে পাবে তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সেই দিনই বিজয় দিবসের উৎসব দেশের মানুষ করতে পারবে। এটাই হোক আজকের দিনের অঙ্গীকার।

উক্ত অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস এর আহবায়ক চিত্রনায়ক হেলাল খান এবং সঞ্চালনা করেন জাসাস এর সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাঃ রফিকুল ইসলাম, জাসাস এর যুগ্ম আহবায়ক আহসান উল্লাহ চৌধুরী, জাবেদ আহমেদ কিসলু, শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, কে এম খালেদুজ্জামান জুয়েল, শরীফ মাহমুদুল হক সঞ্চয়, ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন, সদস্য রফিকুল ইসলাম স্বপন, শাহিনুর আবেদীন, মোঃ হাবিবুর রহমান জসিম, ইঞ্জিঃ মোঃ মঞ্জু মিয়া, শাহ মোঃ বিল্লাল হোসেন, এনামুল হক জুয়েল, অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন শাহীন, সৈয়দ আশরাফুল মজিদ খোকন, মোঃ মাজহারুল ইসলাম খান পায়েল, সুভাষ চন্দ্র দাস, ছামছুল হোসাইন, নাসির উদ্দিন মিলন, শিহাব খান, এম আই মিঠু, টাইগার সোহেল, তারিকুল ইসলাম ভুইয়া সায়মন তারিক, মোঃ মিজানুর রহমান, আব্দুল জাব্বার, শফিকুল হাসান রতনসহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উক্ত অনুষ্ঠানে মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে জাসাস এর যুগ্ম আহবায়ক সংগীত পরিচালক জাবেদ আহমেদ কিসলুর পরিচালনায় দেশত্ববোধক সংগীত পরিবেশন করেন জাসাস এর সদস্য সংগীত শিল্পী শাহিনুর আবেদীন ও তার দল, সংগীত শিল্পী খেয়া বাঙালী, জাসাস এর সদস্য সংগীত শিল্পী আশরাফ হোসেন শাহীন, জাসাস নেতা সংগীত শিল্পী মীর হোসেন মিলন , জাসাস নেতা ব্যান্ডশিল্পী তারিকুল আলম শামীম, জাসাস এর সদস্য সংগীতশিল্পী এম আই মিঠু, সংগীত শিল্পী রাহাত রহমান। অনুষ্ঠানে জাসাস এর সদস্য কবি এনামুল হক জুয়েল এর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’র মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবীতে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করে পরিবশেন করা হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com