নতুন ইসি নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জামায়াতের
নির্বাচন কমিশন গঠনের নামে প্রহসন বন্ধ করে অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম। বুধবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ আহবান জানান।
বিবৃতিতে এটিএম মা’ছুম বলেন, বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর ২০১১ সালে প্রায় সকল রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী ও সংবিধান সংশোধনের জন্য গঠিত সংসদীয় কমিটির অধিকাংশের মতামতকে অগ্রাহ্য করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এর মাধ্যমে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথকে রুদ্ধ করা হয়। ফলে বাংলাদেশ আজ এক গণতন্ত্রহীন স্বৈরশাসকের দেশে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে তথাকথিত সার্চ কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে ২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশে যে দুটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তা কারো নিকট গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তিনি বলেন, এসব নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বাধীন, নিরপেক্ষ নির্বাচন ব্যবস্থা এবং দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস করা হয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার ও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতাকে কেড়ে নেয়া হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই কখনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না।
সম্প্রতি জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে, নির্বাচনের নামে যে প্রহসন করা হয়েছে তাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভূত হয়েছে। জনগণের দাবি কেয়ারটেকার সরকার ব্যতীত কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি মূল বিষয়কে পাশ কাটিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের উদ্দেশ্যে সার্চ কমিটি প্রণয়নের জন্য যে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছেন তা জনগণের সাথে একটি তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। নির্বাচন কমিশন গঠনের নামে প্রহসন বন্ধ করে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা এবং তার অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।