বুদ্ধিজীবীরা এখনও নিপীড়িত হচ্ছেন: বিএফইউজে-ডিইউজের নেতৃবৃন্দ
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বুদ্ধিজীবীরা স্বাধীন সার্বোভৌম রাষ্ট্র চেয়েছিলেন বলেই কতৃত্ববাদী গোষ্ঠী তাদেরকে হত্যা করেছে। দেশে বুদ্ধিজীবীরা এখনও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। সরকারী নিপীড়নে বহু বুদ্ধিজীবীকে দেশে ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবািদক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। এসময় তারা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর মুক্তি দাবি করেন।
বিএফইউজে’র সভাপতি এম আবদুল্লাহ বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের কেনো হত্যা করা হয়েছিল? কারন তারা একটি স্বাধীন সার্বোভৌমত্ব রাষ্ট্র চেয়েছিলেন। তাই কতৃত্ববাদী গোষ্ঠী তাদেরকে হত্যা করেছে। সদ্য স্বাধীন হওয়া দেশটি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে তাই তাদের হত্যা করা হয়েছে। যা এখনো অব্যাহত। এসময় তিনি সংগ্রাম সম্পাদক আবুল আসাদ, ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, মাহমুদুর রহমান, রুহুল আমিন গাজীসহ বর্তমান বুদ্ধিজীবীদের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন এবং নিন্দা জানান।
বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন বলেন, ১৪ ডিসেম্বর আসলেই আমরা এ দিবসটি পালন করি এবং ইতিহাস শুনি। কিন্তু বাস্তবিকভাবে আমরা এর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারিনি। আমরা এই বুদ্ধিজীবী হত্যার সঠিক তদন্ত চাই। তিনি বলেন, এদেশে যদি মানবাধিকার থাকতো তাহলে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে আটকে রাখা হতো না। আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য সাংবাদিকরা আন্দোলন করেছি। আমরা কি তাদের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাচ্ছি? আজকে আইনের দোহাই দিয়ে বেগম জিয়াকে বিদেশ চিকিৎসা নিতে যেতে দিচ্ছে না। আমি বলবো আইনের জন্য মানুষ না, মানুষের জন্য আইন। তাই আমাদের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হলে রাজপথে আন্দোলন করতে হবে। আর সেই আন্দোলনের মাধ্যমেই আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে পারবো।
ডিইউজে’র সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বুদ্ধিজীবী ভীতির আবর্তে চলছে বাংলাদেশ। এখনও দেশের বুদ্ধিজীবীরা নিরাপদ নন। প্রতিনিয়ত সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীদের সরকারের রোষানলে পড়তে হচ্ছে। বুদ্ধিজীবীও স্বাধীন মতামত ব্যক্ত করতে পারছেন না। অনেক বুদ্ধিজীবী কে দেশান্তরি হতে হয়েছে। তিনি বলেন, সাংবাদিকরা আজ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। কখনো রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে, কখনো কালো আইন করে সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। দেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি নাই। দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ চিকিৎসা পর্যন্ত পাচ্ছে না।
সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, দেশে গনতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই। ন্যায় বিচার নেই। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। গুম, খুন, ধর্ষণের মহোৎসব চলছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।
বিএফইউজে’র সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে ও ডিইউজে’র সাধারন সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ডিইউজে’র সাবেক সাধারন সম্পাদক বাকের হোসেন, বিএফইউজে’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোদাব্বের হোসেন, ডিইউজে’র সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহিন হাসনাত, সহ-সভাপতি বাসির জামাল, বিএফইউজে’র কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ খায়রুল বাশার, নির্বাহী সদস্য একেএম মহসীন, ডিইউজে’র সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আলী আসফার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ দিদারুল আলম, প্রচার সম্পাদক খন্দকার আলমগীর, জনকল্যাণ সম্পাদক দেওয়ান মাসুদা সুলতানা, দফতর সম্পাদক ডিএম আমিরুল ইসলাম অমর, বিএফইউজে’র সাবেক দফতর সম্পাদক আবু ইউসুফ, ডিইউজে’র সাবেক দফতর সম্পাদক বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী প্রমুখ।