সরকার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে অনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে: বিএনপি
ক্ষমতাসীনরা রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের অনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘যারা বিশ্বের বুকে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।’
গতকাল সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন কথা বলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মোশাররফ বলেন, ‘দেশে আজ ক্রান্তিকাল চলছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল আকাঙ্ক্ষা গণতন্ত্র ও অর্থনীতি ধ্বংস। সবকিছুর ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে সরকার।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রথমবারের মতো র্যাব কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞার ঘটনা লজ্জাজনক। রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে নিজেদের অনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে ক্ষমতাসীনরা। যারা বিশ্বের বুকে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বিএনপির এখনকার দায়িত্ব গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় আইনগত বাধা রয়েছে সরকারের এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করে মোশাররফ আরও বলেন, ‘শর্ত তুলে সংশোধনী দিলেই খালেদা বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারে। আইন নয়, সরকার ও সরকারপ্রধানই বাধা।’
সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ৭১ এর মতোই গেল ১০ বছরে রাজনীতি ও মেধাশূন্য করতে বিএনপির ৫০০ জনকে গুম ও হত্যা করে সরকার অরাজক পরিস্থিতির সুযোগ তৈরি করছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচারের বিচার করবে স্রষ্টা। লড়াই আন্দোলনে খালেদাকে মুক্ত করা হবে। বুদ্ধিজীবী হত্যা ও বিএনপির নেতাকর্মীকে হত্যার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। উদ্দেশ্য একই।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র মুক্তির জন্য আরেকটা যুদ্ধ করতে হবে। এসময় র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেশের জন্য লজ্জা ও কলঙ্কের বলে মন্তব্য করেন তিনি।