মোহাম্মদ নাসিমের কালোবাজার পাচার এবং লুটপাটের ইতিহাস অনেক লম্বা।

0

মোহাম্মদ নাসিমের কালোবাজার পাচার এবং লুটপাটের ইতিহাস অনেক লম্বা।
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে নাসিমের ভয়াবহ লুটপাট ও চোরাকারবারির কারণে বলা হতো – মানুষের পুলা নাসিম ডাকাত।

১৯৭২-সালে মনসুর আলী দায়িত্ব নেন প্রথমে যোগাযোগ ও পরে স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে৷১৯৭৩ সালের ৭ মার্চের নির্বাচনে মনসুর আলী পুনরায় পাবনা-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন৷ ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি কুখ্যাত বাকশালের সাধারণ সম্পাদক হন।

যোগাযোগ ও পরে স্বরাষ্ট্র এবং যোগাযোগ মন্ত্রীর ক্ষমতা অপব্যাবহার করে সারা দেশে ভয়ঙ্কর লুটপাট ও চোরাকারবারি শুরু করেন নাসিম। একবার যখন চোরাকারীবা পাচার বন্ধ করা যাচ্ছে না সারা দেশে ভয়াবহ অবস্থা। ঠিক সেই সময় সেবানাহিনীকে তলব করা হয় পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য। একদিন রাতে চোরাকারবারিদের কয়কেটি ট্রাক আটকানোর জন্য সেনাবাহিনীর গাড়ি যখন পিছু ধাওয়া করে তখন দেয়া যায় গাড়ি গুলো তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মনসুর আলীর বাড়তেই ঢুকে। মন্ত্রীর বাড়িতে তল্লাশির জন্য ঢাকায় যোগাযোগ করা হলে স্বয়ং শেখ মুজিব বলেছিলেন এসব তল্লাশি করবা না।
এর পর প্রায় প্রতিদিন সেনাবাহিনীর চোখের সামনেই নাসিমের নেতৃত্বে চলে বৈদেশিক ত্রান ভারতে পাচার। অসহায়ের মতো সেনাবাহিনী চুপ থাকে। নাসিমের লুটপাট ও ডাকাতির বিরোধিতা করলেই খুন অথবা গুম করা হতো।

১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত মনসুর আলীর পরিবার হয়ে যায় বাংলাদেশে তৎকালীন অবৈধ কয়েক কোটি টাকার মালিক।
পাবনায় এবং সিরাজগঞ্জ জেলায় গণহারে জোরদখল করে নাসিমের নেতৃত্বে তৎকালীন নাসিম বাহিনী।

রক্ষীবাহিনীর আমলে নাসিমের নির্দেশে কয়েকশত তুরুনকে হত্যা করা হয়। যাদের বেশিরভাগ ছিলেন বামপন্থী। একসময় নাসিম নিজেও ছাত্র ইউনিয়ন করতেন। তাই বাম তরুণদের তালিকা তার কাছে ছিল।

সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় ৮০ বিঘা জমির মূল্য কত ?
সিরাজগঞ্জ শহরে ৫০ বিঘা জমির মূল্য কত ?

আমেরিকায় কান কাজকর্ম করে না তার পর ও বাংলাদেশের মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুর যুক্তরাষ্টে গড়ে তুলেছেন বিশাল সম্পদের পাহাড়। বিভিন্ন ব্যাংকেও রয়েছে তার নামে বেনামে টাকার ছড়া-ছড়ি। নাসিম স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে কয়েকশত কোটি টাকার ট্যান্ডার থেকে সরাসরি কমিশন যুক্তরাষ্টে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুরের কাছে পৌঁছে দিতে হতো। ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেই প্রকাশ্যে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হন নাসিম।

১৯৮৬ সালে পাতানো নির্বাচনে এমপি হয়েই এরশাদের সাথে দেখা করে মাসিক কোটি টাকার দালালির চুক্তি করেন। ১৯৯৬ সালে এমপি হয়ে সকল বরাদ্ধের ৪০ ভাগ নিজেই পকেটে ঢুকান। ২০০১ সালেও সংসদ সদস্য হয়ে বিদেশে পাচার করে প্রায় একশত কোটি টাকা। এর মধ্যে একবার কাষ্টমে ধরা পড়লে হাসিনার হস্তক্ষেপে তখন গোপনে টাকার লাগেজ সহ ফিরে এসে ভারত হয়ে বিদেশে চলে যান।

একবার বিশেষ অভিযানে নাসিমের বাড়িতে পাওয়া যায় টিনে র কয়েক কৌটা ভর্তি সোনার বিস্কুট। যার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ৯ কোটি টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে নাসিম কোন উত্তর দিতে পারেন না নাই। এর পর আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এসেই মামলা তুলে নেয়।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নামে , স্ত্রীর নামে শশুর বাড়ির আত্বিয়দের নামে রাজধানীতে রয়েছে ৮৫ টি ফ্লাট , শেযার বাজারে রয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। আওয়ামীলীগের আমলে শেয়ারবাজার ডাকাতির বিরাট অংশ নাসিম নিজেই হজম করেন।

প্রত্রিকা ও টেলিভিশনটি এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তমাল মনসুর নিউইয়র্কের আফতাব টাওয়ারের ১২টি এপার্টমেন্ট ও ৪টি পার্কিং স্পটের মালিক। এনিয়ে ভবনের নীচতলায় অবস্থিত মসজিদ মিশন সেন্টার নামক একটি মসজিদের বিরুদ্ধে প্রায় ৫ লক্ষ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা করেছেন তিনি। বাংলাদেশের বিখ্যাত নির্মাতা জহিরুল ইসলামের ভাই আজহারুল ইসলাম ২০১১ সালে নিউইয়র্ক সিটির জ্যামাইকাতে আফতাব টাওয়ার নির্মাণ করেন। এই ভবনে ২৪টি এপার্টমেন্ট ও বেইসমেন্ট রয়েছে। এর অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি এপার্টমেন্টের মালিক হচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের ছেলে তমাল মনসুর।

১৯৯৬ সালেও স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকালীন সময়ে কয়েকহাজার কোটি টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেন।
তৎকালীন সময়ে কয়েকটি পত্রিকায় ফলাও করে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

একজন মন্ত্রীর ছেলে হিসেবে বিশাল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে আমার পারিবারিক বিষয়টিকে কেন আনা হচ্ছে। বাংলাদেশী কমিউনিটিতে আমার কোন সম্পৃক্ত নেই। তারা কেন এমন প্রশ্ন তুলছে এটা তাদেরই জিজ্ঞেস করুন। নিজের ১২টি এপার্টমেন্ট আছে কিনা জানতে চাইতে তিনি এবিষয়ে হ্যাঁ বা না সরাসরি উত্তর না দিয়ে এটা তার ব্যক্তিগত বিষয় বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখিত এপার্টমেন্টসমুহের দাম জানতে চাইলে মার্কিন রিয়েল এস্টেট ব্রোকার বলেন, এখানে এখন প্রতিটি এপার্টমেন্টের দাম হচ্ছে কমপক্ষে ৪ লক্ষ ডলার। এই হিসেবে ১২টি এপার্টমেন্টের দাম ৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে পার্কিং লটের দাম না হয় বাদই দিলাম।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com