তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভে পুলিশের টিয়ার গ্যাসে নিহত ১, সরকারের অস্বীকার

0

তিউনিসিয়ার দক্ষিণের আকারেব শহরে এক ময়লার ভাগাড় খোলায় সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করা হয়েছে।

সোমবারের এই বিক্ষোভে তিউনিসিয়ার পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ করা হচ্ছে।

স্থানীয় রেডিও শামস এফএম ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আকারেব শহরে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করলে তরুণ এক বিক্ষোভকারী নিহত হয়।

অপরদিকে তিউনিসিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই মৃত্যুতে সরকারের দায়িত্ব অস্বীকার করে জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির সাথে বিক্ষোভের কোনো সম্পর্ক ছিলো না। বিক্ষোভস্থল থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে নিজ বাসভবনে অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে আকারেবের এই ময়লার ভাগাড়টি স্থানীয়দের দাবির মুখে বন্ধ হয়ে যায়। ময়লার এই ভাগাড় থেকে রোগ ছড়ানোর ও পরিবেশ দূষণের অভিযোগে স্থানীয়রা তা বন্ধ করে দেয়ার দাবি জানান।

এদিকে আকারেবের এই ভাগাড় বন্ধ করে দেয়ায় শহরটি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত তিউনিসিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী সাফাকিসে ময়লা জমছে। নগরীর রাস্তাঘাটে হাজার হাজার টন ময়লা জমা হওয়ায় দুর্ভোগে পড়ছে নগরীর বাসিন্দারা।

এই অবস্থার প্রতিকারে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবিলম্বে সমাধানের ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার আকারেবের ওই ময়লার ভাগাড়টি সরকারি কর্তৃপক্ষ পুনরায় চালু করতে কাজ শুরু করলে স্থানীয় হাজার হাজার তরুণ তাতে বাধা দেয় ও বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ওই সময় পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।

গত ২৫ জুলাই করোনা পরিস্থিতিতে তিউনিসিয়ায় সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জেরে আকস্মিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভের পর রাতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ দুই বছর আগে নির্বাচিত পার্লামেন্ট ৩০ দিনের জন্য স্থগিত, প্রধানমন্ত্রী হিশাম মাশিশিকে বরখাস্ত ও দেশের নির্বাহী ক্ষমতা নিজের হাতে নেয়ার ঘোষণা দিয়ে আদেশ জারি করেন।

পরে ২৩ আগস্ট ‘রাষ্ট্রের জন্য হুমকি’ বিবেচনায় পরবর্তী আদেশ দেয়া না পর্যন্ত পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ।

অপরদিকে ২২ সেপ্টেম্বর জারি করা এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংবিধানের কিছু অংশ স্থগিত করার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতা জোরদার করেন সাইদ।

২৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে বহিস্কার ও পার্লামেন্ট স্থগিতের দুই মাস পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন কায়েস সাইদ। ভূতত্ত্ববিদ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক নাজলা বুউদেন রমাদানকে তিউনিসিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট সাইদ।

পরে ১১ অক্টোবর নাজলা বুউদেন রমাদানের নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন করা হয়।

তবে এখনো পর্যন্ত তিউনিসিয়ায় স্বাভাবিক সাংবিধানিক অবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো রূপরেখা জানাননি প্রেসিডেন্ট সাইদ।

সূত্র : মিডল ইস্ট আই

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com