আওয়ামী লীগ কর্মীকে মেরে মাছ দিয়ে ‘খাইয়ে দেওয়ার’ হুমকি আওয়ামী লীগ নেতার
নাটোরের সিংড়ায় আহাদ আলী সিদ্দিক নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীকে মেরে মাছ দিয়ে ‘খাইয়ে দেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন। হুমকি দেওয়ার কল রেকর্ডটি ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় সিংড়া থানায় তাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিনের নামে সাধারণ ডায়েরি করেছেন আওয়ামী লীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিক। সে উপজেলার তেমুক নওগাঁ গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র।
জানা যায়, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ। তাঁর পক্ষে প্রচারণা করেন আওয়ামী লীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিক। গত রবিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন তার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে আওয়ামী লীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিককে ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে যার কল রেকর্ড ফাঁস হয়। কল রেকর্ডে শোনা যায় মিনহাজ উদ্দিন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ কর্মী আহাদ আলী সিদ্দিককে বলেন, ‘তুই বলে আমার নামে খারাপ কথা বলিস, এই শালাকে তুলে নিয়ে আয়, আমাকে তুই চিনিস, বাজারে আসবি, না তোকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসবো।’ এমন ভাবে অকথ্য ভাষায় তাকে গালিগালাজ করেন। মেরে মাছ দিয়ে খাইয়ে দেয়ার হুমকি দেন ইউপি চেয়ারম্যান।
এছাড়া একই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুকুল হায়দার বাবুকে মারপিটের কথা অকপটে স্বীকার করে চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ বলেন, আহাদ আলী সিদ্দিক একজন আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী। আমার পক্ষে গণসংযোগ করার কারণে চেয়ারম্যান মিনহাজ তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে। তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। দলীয় ভাবে এর প্রতিকার চাওয়া হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন বলেন, থানায় জিডি করেছে বলে শুনেছি, আমি কোন তথ্য পাইনি। আমার সম্পর্কে মানুষের কাছে গীবত করে। সে আওয়ামী লীগের তেমন কোন কর্মীও না। আমি তাকে বলেছি, যার ভোট করার করবি, আমার সম্পর্কে গীবত করবি কেন? এই টুকুই বিষয়।
হুমকির বিষয়ে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিক জিডির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জিডি তদন্তের অনুমতির জন্য কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। কোর্ট থেকে অনুমতি পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।