রাবির হল কক্ষের কড়া ভেঙে সিট দখলের অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে একটি কক্ষের দরজার কড়া ভেঙে সিটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ওই কক্ষের এক আবাসিক শিক্ষার্থীর সিটে আরেকজনের দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের এ ঘটনা ঘটে।

হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলের দুই সিটবিশিষ্ট ২৩৫ নম্বর রুমে পপুলেশন সায়েন্সেস অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সুলতান মাহমুদ বিদ্যুৎ ও এগ্রোনমি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল এক্সটেনশন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. সরওয়ার থাকেন। গত ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হল খুলে দেওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত হলে ওঠেননি তারা। হলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শাখা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. আহসান উল্লাহর ৫-৬ জন অনুসারী গিয়ে দরজার তালা ঝুলানোর কড়া কেটে রুমে প্রবেশ করে সুলতান মাহমুদের সিটে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের আকিব আব্দুল্লাহ নামের এক শিক্ষার্থীকে সিটের দখল বুঝিয়ে দেন।

ছাত্রলীগ নেতা আহসান উল্লাহ বলেন, আকিব বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর সুপারিশ নিয়ে আমার কাছে এসেছিল। আমি তাকে বলেছি, রুমটি ফাঁকা আছে তুমি ওই রুমে ওঠো। রুমটির যারা আবাসিক শিক্ষার্থী তাদের মাস্টার্স শেষ হয়ে গেছে। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাকে না জানিয়ে ছেলেটি হলে ঢুকেছে। কাজটা আসলে ঠিক হয়নি।

২৩৫ নং কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী সুলতান মাহমুদ বিদ্যুৎ বলেন, পারিবারিক কাজে হল থেকে কিছুদিন আগে বাড়িতে এসেছি। আজ সন্ধ্যায় আমার রুমমেট জানায়, আমার কক্ষে কে বা কারা প্রবেশ করেছে। বিষয়টি আমি হল প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েছি।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বিষয়টি জানেন না জানিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ নেবেন বলে জানান।

ঘটনার ব্যাপারে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, ঘটনাটি জানার পর হলের সুপারভাইজারকে পাঠিয়ে ওই কক্ষে তালা দেওয়া হয়েছে। পরে হলে এসে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের তথ্য নিয়েছি। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।