আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না: মির্জা ফখরুল

0

জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাম্প্রতিক বক্তব্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেলক হকের সোমবার দেওয়া এক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি, মন্ত্রী প্রকারান্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান করেছেন।

জিয়ার কবর নিয়ে নতুন করে আলোচনার মধ্যে মোজাম্মেল হক বলেন, তার কবর চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে সরানো হবে।

মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের জবাবে সোমবার রাতে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে অন্যায় কটূক্তি করছেন।

“আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, আপনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন কি না তা প্রমাণ করতে হবে। আপনি আজকে যে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হয়েছেন, এই মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের আপনি অপমান করছেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই জাতির সামনে জবাবদিহি করতে হবে।”

আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আসলে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা এক ব্যক্তির একটা শাসন ব্যবস্থায় বিশ্বাস করে।

“আজকে দুই অসুর শক্তি বাংলাদেশের উপরে চেপে বসে্ছে। একটি হচ্ছে করোনা, আরেকটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ।”

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানাতে বিএনপির উদ্যোগে এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফখরুল।

তিনি বলেন, “আজকে মানুষকে হত্যা-গুম-খুন-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি আওয়ামী লীগ এখানে সৃষ্টি করেছে।

“সেই অন্যায়কে পরাজিত করবার জন্য, ন্যায় ও সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য আজকে আমাদের অবশ্যই শ্রীকৃষ্ণ যে পথ দেখিয়েছেন যুদ্ধ-লড়াই, সেই যাত্রায় আমাদের বেরুতে হবে।”

“গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে,” বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা বললেও কাজে ভিন্নরকম।

হিন্দু সম্প্রদায়কে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা একটা বৈরী সময়ে জন্মাষ্টমী পালন করছি। আমরা জন্মাষ্টমী পালন করেছি যতদূর মনে পড়ে আমাদের গুলশানের অফিসের হল ঘরে। আমাদের সকলের সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি পালন করেছি এবং অনুষ্ঠানটি শেষ হয়েছে মিষ্টিমুখের মধ্য দিয়ে। আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান করার কারণে আমরা সবাইকে মিষ্টিমুখ করাতে পারছি না। কিন্তু আমাদের ভালোবাসা সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছি।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে গীতা পাঠ করেন রাজধানীর স্বামীবাগের ইসকনের তেজো গোবিন্দ দাস ব্রম্মাচারী।

হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও অমলেন্দ্র দাস অপুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বিজন কান্তি সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ড, অপর্ণা রায়, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, নিপুণ রায় চৌধুরী, কামাক্ষা চন্দ্র দাস, তরুণ দে, জয়দেব রায় ও পার্থ দেব মন্ডল এবং রামকৃষ্ণ মিশনের কালী কৃষ্ণানন্দা মহারাজ বক্তব্য রাখেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com