কন-এর সংখ্যাগরিষ্ঠতা । দশের চাবি বজোর হাতে।

0

আরিফ মাহফুজ ডিএল টিভি: ব্রিটেনের জাতীয় সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গত ১২ই ডিসেম্বর ২০১৯। হঠাৎ করে সাধারন নির্বাচন ডাকার কারন হল ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একেবারে বেরিয়ে আসতে চায় ব্রিটেন। বেকস্টপ সহ নানান জঠিলতার কারনে ফাইনালি গত ৩১ অক্টোবরে বেরিয়ে আসতে পারেনি ব্রিটেন। সময় বাড়ানো হয় ২০২০ এর জানুয়ারী পর্যন্ত। কিন্তুু হঠাৎ করে কেন নির্বাচনের ডাক দিলেন বরিস জনসন? শুধুই কি ব্রেক্সিট ডান করানো না অন্য কারনও আছে ।  নিজেকে হালাল অর্থাৎ জনগনের ভোটে নির্বাচিত প্রধান মন্ত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্যই এই নির্বাচন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও টরির প্রধান তেরেসা মে ব্রেক্সিট ইস্যুতে ফেইলইওর হওয়ার পর তিনি পদত্যাগ করেন। দলীয় ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি কনজাভেটিভ এর দলীয় প্রধান হন। তারপর পদাধীকার বলে তিনি প্রধান মন্ত্রী হন। কিন্তুু তিনি দেখাতে চেয়েছিলেন যে বৃটেন এর সাধারন জনগন তাঁকে পছন্দ করে এবং তাঁরা ১০০ ভাগ চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসতে। তিনি এটাও প্রমান করতে চেয়েছিলেন যে তিনি কনজারভেটিভের প্রধান হওয়ায় লেবারের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে।  কিন্তুু মজার বিষয় হর চাওয়া থেকে পাওয়াটা খুবই বেশী হয়ে গেছে কনজারভেটিভ তথা বরিস জনসনের।

কারন তাদের নিজেদেরও ধারনা ছিলনা যে তারা এতটাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। ১৯৮৭ সালের পর এটাই হচ্ছে কনজারভেটিভের সবচেয়ে অভুতপূর্ব বড় জয়। ৩৬৫ টি আসন পেয়েছে কন। তবে লেবারের এত বড় সুচনীয় পরাজয়ও কেউ আশা করেনি । লেবারের নির্বাচনী ইশতেহার ছিল  কনজাভেটিভের চেয়েও বেশ জনবান্ধব। অতীতে কারোই এত জয়পরাজয় হয়নি। তাহলে কি নেতা নির্বাচনে কোন কারিশমা আছে ? থাকতেই পারে । অনেকেই লেবার নেতা জেরেমি করবিন কে উপযুক্ত নেতা হিসাবে মনে করেন না । কিন্তুু করবিন অনেক ভাল একজন রাকনৈতিক এবং ব্যাক্তিগত ভাবেও একজন ভাল মানুষ। অপর দিকে জনসনকে অনেকেই ব্যাক্তি হিসাবে পছন্দ করেন না, তাঁকে লায়ার বলেও মন্তব্য করেন। কিন্তুু বরিস একজন অত্যন্ত গতিশীল নেতা যা করবিন এর মধ্যে নেই। নির্বাচনী প্রচারনায় মিডিয়ার দ্বারা নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন করবিন এবং তিনি নির্বাচনী হতাশ জনক ফলাফল নিয়ে দুঃখও প্রকাশ করেছেন। এও বলেছেন যে ভবিষ্যতে তিনি সাধারন নির্বাচনে লেবারের নেতৃত্ব দিবেন না।

যাই ইউক, উচ্ছসিত বরিস কি করবেন ? ১০ নং এর চাবি আবার তাঁর হাতে । গদিতে বসছেন তিনি । যে জনগন ভোট দিয়েছে তাঁকে তিনি কি তাঁদের বিশ্বস্ততা রাখতে পারবেন? এটা এখন জনগনের প্রশ্ন। তবে নির্বাচনে জয়লাভ করে প্রথম দিনই জনসন বলেছেন-যে বিশ্বাস করে জনগন তাঁকে নির্বাচিত করেছে তিনি তা রিপে করবেন অর্থাৎ প্রতিদান তিনি জনগনকে ফিরিয়ে দিবেন। এজন্যই তিনি প্রথম দিনেই ঘোষনা করেছেন ব্রেক্সিট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ‘‘নো ইফ নো বাট পলিসি‘। তবে ব্রেক্সিট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পার্লামেন্টে সবুজ চেয়ারে বসা থাকা সব কন সদস্য গন ব্রেক্সিট বিলে সই করবেন অনায়াসেই। সেই ক্ষেত্রে এবার ব্রেক্সিট ডান করাতে আর বেগ পেতে হবে না জনসনকে। শুধু ব্রেক্সিট নয় যেন সুন্দর একটি বৃটেন গড়তে নিরলস কাজ করে যান বরিস জনসন এটাই এখন সবার প্রত্যাশা

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com