ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যায়ের কারণে অসুস্থ অবস্থায় কারারুদ্ধ হয়ে আছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এই ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যায়েরকারণে আজকে দীর্ঘ তিন বছর কারারুদ্ধ হয়ে আছেন। তিনি এখন অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
আপনারা জানেন বেগম জিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে অনেক গুলো জটিলতা দেখা দেয় এবং শ্বাসকষ্ট যখন বেশি হয় তখনতাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা সম্পূর্ণ আন্তরিকতার সহিত তার চিকিসা করছে। প্রতিদিন মেডিকেল টিম বসে তারা মনিটরিং করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে দেশবাসী সবাইউদ্বিগ্ন। দেশবাসী সবাই তাকে অত্যন্ত ভালোবাসেন। দেশবাসী বেগম খালেদা জিয়াকে শেষ আশ্রয়স্থল মনে করেন। তারা মনেকরেন বেগম জিয়ার মাধ্যমে আমাদের দেশের স্বাধীনতাকে আমরা রক্ষা করতে পারবো। দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবো।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, নারী নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরীসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা দীর্ঘ ৫০বছরের বেশী সময় আগে থেকে এদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছি। পরবর্তীতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, জীবন দিয়েছে। কিন্তু আমাদের সেই সকল অর্জনএই দানব সরকার ধংশ করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এর লক্ষ্যটাই হচ্ছে বাংলাদেশকে ধংশ করে দেয়া, এটা তাদের লক্ষ্য। আপনারা লক্ষ্য করে দেখেন ১৯৭১সালের স্বাধীনতার পরে ঠিক একই কায়দায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিলো। আমার কষ্ট হয়, দুঃখ হয়যে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা ওই সময়টার কথা বলতেই চায় না। কেনো? এই দেশের সমস্ত পত্রিকা বন্ধ করে দিয়েছিলো কে? এইদেশের সাংবাদিকরা কখন ফুটপাতে গিয়ে হকারী করেছে? আপনাদের সেটা বলতে হবে। তিনি আরো বলেন, ৭২–৭৫ এর সেইসময় প্রায় ৩০হাজার তরুন–যুবককে হত্যা করা হয়েছিলো। এটা বাস্তবতা।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার ৭২–৭৫ এর মতই একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করছে। তবে একটু অন্যভাবে। তারা দেশেরসকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্টান গুলোকে ধংশ করে দিয়েছে। এই যে, আজকে রোজিনা ইসলাম; তার এই ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনানয়। আমরা দেখতে পেয়েছি সাগর–রুনী হত্যার এখন পর্যন্ত কোন বিচার হয়নি। এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, আজকে আমলারা সরকার দলীয় নেতা হয়ে গেছেন।
তিনি আরো অভিযোগ করেন যে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী নিপুণ রায়কে একটা মিথ্যা অডিও রেকর্ড দিয়ে ফাঁসিয়ে মামলা দেয়া হয়েছে। তিনি সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম, সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, বিএনপি নেত্রী নিপুন রায় সহ সকল রাজবন্দিদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার পূর্বক নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।