দেশে একদিকে করোনার ভয়াবহ আক্রমণ, অন্যদিকে সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন: ফখরুল

0

এবারের ঈদকষ্টের দুঃসময়েরবলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে ঈদুল ফিতর পালিত হচ্ছেঅত্যন্ত একটা কষ্টের মধ্য দিয়ে, দুঃসময়ে। একদিকে কোভিড করোনার ভয়াবহ আক্রমণ, অন্যদিকে সরকারের অত্যাচারনির্যাতননিপীড়ন। এই দুই দানবের হাত থেকে এই দেশ যেন রক্ষা পায়, জনগণ যেন রক্ষা পায়, সেই দোয়া আমরা আল্লাহতালার কাছে আমরা করেছি, তিনি যেন এই তৌফিক দেন যে আজকে সারা দেশে যে কর্তৃত্ববাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তার থেকে মুক্ত করার জন্য আমরা সেই শক্তি অর্জন করতে পারি, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করতে পারি সেই দোয়া আমরা করেছি।

আজ শুক্রবার ঈদের নামাজ শেষে সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

তিন বছর ধরে কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ছাড়া দলের নেতাকর্মী দেশবাসী ঈদ কেমন পালন করছে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ঈদ বলতে আমরা যেটা সবসময় বুঝি সেই ঈদ আমাদের শুধু তিনবছর নয়, সত্যিকথা বলতে কী গত এক যুগ ধরেই আমাদের ঈদ নেই। কারণ আমাদের নেতাকর্মীদের হত্যা করে, মিথ্যা মামলা দিয়ে ভয়াবহ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শুধু আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যেই ৩৫ লাখ লোক আসামি হয়ে আছেন। যারা আসামি হন, তাদের পরিবারে কখনো ঈদ আসে না। এটা বাস্তবতা।

তিনি বলেন, এই সরকারের এত নির্মম যে তাদের অত্যাচারনির্যাতনও বর্ণনাতীত। ওই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা চলছি।দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন আমাদের সাথে থাকেন তখন উজ্জীবিত হই, তিনি অনুপ্রাণিত করেন। তিনি কারাগারে ছিলেন তিন বছর। এভাবে আমরা অনুপ্রাণিত হয় যে তিনি তো আছেন, বেঁচে আছেন, তিনি আমাদের সাথে আমাদেরকে অনুপ্রেরণা দান করেন। এই অনুপ্রেরণা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবোএটাই আমাদের আজকের দিনের শপথ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঈদ বলতে তো এখন কিছু নেই আসলে। আপনারা দেখেছেন যে সরকারের ভুল নীতির কারণে আজকে কিভাবে আপনার মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। এমনকি বাড়ি যাওয়ার পথে ইতিমধ্যে পাঁচজন নিহত হয়েছে পথপৃষ্ট হয়ে।

তিনি বলেন, অন্যদিকে দেখুন, তাদের (সরকার) ভুল সিদ্ধান্তের কারণে সমস্যা হচ্ছে। একদিকে তারা বলছে লকডাউন। কিন্তু কোনো লকডাউন পালন হচ্ছে না। গণপরিবহন বন্ধ করেছে, কিন্তবন্ধ হচ্ছে না। আজকে যদি এই ঘটনাগুলো না ঘটত, সঠিকভাবে পরিকল্পনা গুলো করা হতো, তাহলে এমন হতো না।

তিনি বলেন, আমরা বারবার করে বলছি, প্রণোদনার টাকা যদি সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে পৌঁছত, তাহলে এই অবস্থা হতোনা। সাধারণ মানুষ সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রণোদনা বা কোনো সাহায্য পায়নিএটা বাস্তবতা। এটা আমার কথা নয়, অর্থনীতিবিদরা বলছেন। আমরা সেই কারণে বলি যে সরকারের অবিলম্বে যে কাজটা করা দরকারতাদের বাজেটের একটা বিরাট অংশমেগা প্রজেক্ট তারা করছে। এর একটা বড় অংশ জনগণ তথা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকারএটাই হওয়া উচিত সবার আগে কাজ।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com