সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি পদটির মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখার অনুরোধ খন্দকার মাহবুবের
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির পদটি অত্যন্ত সম্মান জনক ও গুরুত্বপূর্ণ পদ। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকসহ অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিএই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাই বর্তমান সভাপতির মৃত্যুর কারণে যে একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, সেই পরিস্থিতির কারণে আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে। যাতে এই পদের মর্যাদা কোন রকম ক্ষুণ্ণ না হয়।
তিনি বলেন, এই পদটিকে কোনো ভাবেই বিতর্কিত করা ঠিক হবে না। বিতর্কে না গিয়ে সবাই মিলে সম্মানজনক সমাধান খুঁজতে হবে। যাতে সভাপতির পদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকে।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ অনুরোধ জানান।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, কোনো হীন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য যাতে সভাপতির এই পদটির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ না হয়, পদটির মর্যাদা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে এ ব্যাপারে সবার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান নির্বাচিত সভাপতির আকস্মিক মৃত্যুর ফলে সম্মানজনক এই পদটির গুরুত্ব ও সম্মানের ব্যাপারে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে, যাতে এই পদটির মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকে।
গত ৪ মে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির শূন্য পদে নির্বাচন বিষয়ে ডাকা বিশেষ সাধারণ সভা তুমুল হট্টগোলে পণ্ডহয়। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।
ওইদিন সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছিলেন, হট্টগোলের কারণে বিশেষ সাধারণ সভামুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে। আর আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরা দাবি করেছেন, সাধারণ সভায় কণ্ঠভোটে এ এম আমিন উদ্দিন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
এরপর গত ৫ মে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির শূন্য পদে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত নির্বাচিত আইনজীবীরা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, ভোটবিহীন ক্ষমতা দখলের যে চর্চা বর্তমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সীনরা চালু করেছে, মঙ্গলবারের এ ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। তিনি বলেন, শূন্য পদে সভাপতি কে হবেন সেজন্য মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে আলোচনা শুরুর আগেই বিশেষ সাধারণ সভা স্থগিত করেছেন সম্পাদক। কোনো ধরনের আলোচনা কিংবা সেখানে সভাপতি পদে কোনো নির্বাচন হয়নি। এছাড়া বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছিল সভাপতিপদ পূরণে করণীয় নির্ধারণের জন্য, নির্বাচনের জন্য নয়। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিতে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হলো। যেটি সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে কখনোই আমাদের কাম্য ছিল না।