বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে: বিএনপি

0

খাদ্যের ব্যবস্থা না করায় লকডাউন ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার লকডাউন কার্যকর করতে ব্যর্থ। তার প্রধান কারণ লকডাউনের শর্তানুযায়ী খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্য সংস্থান না করা এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা না করা। এর কিছুই না করে মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করা রীতিমতো অমানবিক অর্থহীন প্রচেষ্টা।

লকডাউনের নামে সরকার মূলত বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল আন্দোলনকারী আলেমওলামাদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ঘোষণা করেছে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব।

তিনি বলেন, লকডাউন শুরুর দিন থেকেই সারাদেশে ব্যাপকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ঢালাও ভাবে গ্রেফতার করাহচ্ছে। দেশের প্রখ্যাত আলেমওলামাসহ বিএনপি এর অঙ্গসংগঠনের শত শত নেতাকর্মীকে নির্বিচারে গ্রেফতার নির্যাতন চালানো হচ্ছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, লকডাউন ঘোষণার আগেই জনগণের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মৌলিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র ঘোষণা দিয়ে মানুষকে ঘরের ভেতরে রাখা যাবে না। কারণ মানুষের খাদ্যের প্রয়োজন হয়। এদেশের ৮৬ শতাংশ মানুষ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কাজ করেন সে কথা একবারের জন্য মনে করা হয়নি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, সরকারের অপকর্ম, দুর্নীতি, অত্যাচার, নির্যাতন ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যাতে কেউকোনো শব্দ উচ্চারণ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে কোনো না কোনো ভাবে আইনের আওতায় এনে কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে।

করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বরাদ্দের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক বরাদ্দনিয়ে আইএমএফের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে য্ব, রাজস্ব থেকে ঘোষিত প্রণোদনার মধ্যে উপকার ভোগীদের মাত্র ১৬ হাজার কোটিটাকা বিতরণ করা হয়েছে। সেই বিবেচনায় জিডিপির অনুপাতে জনগণকে আর্থিক সহায়তা দেয়ার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় একেবারেই তলানিতে রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে। আজকে অনেক পত্রিকায় এসেছে যে, খাদ্য সবচেয়ে কম মজুদ এবার তিন লাখ টন। যেখানে ১১ লাখ টন থাকার কথা। এবার চালের মজুদ কম থাকায় আগে খাদ্য আমদানি করার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। খাদ্যমন্ত্রীও বিষয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারছেন না। মজুদদাররা মাঠ থেকে চড়া দামে ধানকিনে ফেলছে। সরকার এখনো ধান কেনা শুরু করেনি।

তিনি বলেন, আমরা সঠিক মূল্য নির্ধারণ করে অবিলম্বে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয়ের জন্য আহবান জানাচ্ছি এবং স্বল্পদামে জনগণের কাছে তা পৌঁছানোর জন্য ওএমএস কর্মসূচি দ্রুত বাড়ানোর অনুরোধ করছি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com