‘অক্ষয়-টুইঙ্কল বিবাহিত, আমি-নুসরাত নই’ পার্থক্য বোঝালেন যশ
বান্ধবী-অভিনেত্রী নুসরাত জাহান যখন তৃণমূলের সংসদ সদস্য, সেখানে যশ যোগ দিলেন বিরোধী দল বিজেপিতে। বলিউডের হেভিওয়েট দম্পতি অক্ষয় কুমার ও টুইঙ্কল খান্নার দেখানো পথেই কি হাঁটছেন এই তারকা জুটি?
বিজেপিতে যোগদানের পরেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত।
নুসরাত এবং তার সম্পর্ককে তুলনা করা হলো বলিউডের অক্ষয়-টুইঙ্কল দম্পতির সঙ্গে। কারণ ইদানীংকালে অক্ষয় কুমার পরিচিত বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে। অন্যদিকে, স্ত্রী টুইঙ্কল খান্না বিজেপিকে কটাক্ষ করে তার মতামত জানান প্রায়শ।
ঠিক এমনই কি ঘটছে যশ-নুসরাতের ক্ষেত্রেও। বিজেপি-তে যশের যোগদানের সময়ও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ভর্ৎসনা করে টুইট করেছিলেন নুসরাত।
যশের বিরোধী শিবিরে নাম লেখানো নিয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি নুসরাতের দিক থেকে। তবে যশকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘একই পরিবারের সদস্যরা কি রাজনীতি বা অন্য কোনও বিষয়ে ভিন্ন মত পোষণ করতে পারেন না?’ যশ এই প্রসঙ্গে বুঝিয়ে দেন, রাজনীতি এবং হৃদয় একই সরলরেখা ধরে হাঁটে না।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় জনতা পার্টির পতাকা হাতে তুলে নেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। তিনি বলেছিলেন নুসরাতের সঙ্গে তার ‘বন্ধুত্ব’ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সূত্রে। দু’জনের ভিন্ন দুই দলে থাকাটা তাতে কোনও রকম প্রভাব ফেলবে না। তারা একসঙ্গে সিনেমাও করবেন।
তাহলে কি অক্ষয়-টুইঙ্কলের মতো ভিন্ন মতাদর্শ নিয়েই শান্তিপূর্ণ সহবাসে থাকবেন যশ-নুসরাত? যশের স্পষ্ট উত্তর, ‘এ ক্ষেত্রে সে কথা বলা ঠিক হবে না। অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খান্না বিবাহিত। আমি এবং নুসরাত তা নই। ’
বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই মমতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন যশ। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায়, এ রাজ্যের ছেলেমেয়েরা রোজগারের তাগিদে অন্য রাজ্যে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। বাংলায় আরও উন্নত পরিকাঠামো এবং বাণিজ্যের প্রয়োজন। সেগুলি এলেই প্রকৃত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে উঠবে বলে অভিমত অভিনেতার। আর নরেন্দ্র মোদীর দেখানো রাস্তাতেই ‘সোনার বাংলা’-য় ফসল ফলবে বলে তার বিশ্বাস।
তবে যশ যতই বন্ধুত্বের বাণী আওড়ান না কেন, দলবদলের বাজারে নুসরাতও গেরুয়া শিবিরে যান কি না, এখন সে দিকেই তাকিয়ে কৌতূহলীরা।