মোদী সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি, ভাষণ সংশোধনের নোটিস দিল ২৯ সাংসদ
সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধির জন্য নয়া সিদ্ধান্ত নিল বিরোধী দল। লোকসভায় কৃষির আইনবিরোধী বিরোধীতা করে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দের ভাষণে ২০৪টি সংশোধনী চেয়ে নোটিস দিল তাঁরা। যে বিষয়গুলিতে সংশোধন চাওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে কৃষকদের আন্দোলন, অর্ণব গোস্বামীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট এবং অতিমারীর মত বিষয়।
কংগ্রেস, তৃণমূল, বামফ্রন্ট এবং ডিএমকে-সহ ১১ টি দলের ২৯ জন সংসদ সদস্য সংশোধনী চেয়ে নোটিস দিয়েছে। বর্ষাকালীন অধিবেশনে সংসদে পাস হওয়া তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদেরই পক্ষ নিয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, “বিক্ষোভের কোনও সমাধানের কথা রাষ্ট্রপতির ভাষণে উল্লেখ নেই যা দু:খজনক।”
তৃণমূলের সাংসদ সৌগত রায়, এন কে প্রেমাচন্দ্রন (আরএসপি), ফয়জাল পিপি মহম্মদ (এনসিপি), কেপি সুব্বারায়ণ এবং এম সেলভারাজ (সিপিআই), পিআর নটরাজন (সিপিএম) এবং কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী, কোডিককুন্নিল সুরেশ, বেনি বেহানান, হিবি এডেন, ডিন কুরিয়াকোজ, রজনী সিং এবং টিএন প্রথাপন কৃষকদের আন্দোলনের একটি রেফারেন্সও চেয়েছেন। কৃষকদের এই ব্যাপক বিক্ষোভ, কৃষকদের উপর পুলিশী অত্যাচার এবং প্রতিবাদী কৃষকের প্রাণহানির উল্লেখ চেয়ে এই নোটিস দেওয়া হয়েছে।
তবে সমস্যাও রয়েছে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে মোদী সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে বিরোধীরা তা সফল নাও হতে পারে। কারণ ট্রেজারি বেঞ্চগুলিতে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এক্ষেত্রে বিরোধী দলের দ্বারা সংশোধিত সংশোধনীগুলি খুব কমই গৃহীত হয়। যদিও রাষ্ট্রপতির ভাষণের এই সংশোধন চেয়ে বিরোধীদের নোটিস জারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এক বিরোশী নেতা জানান, এই নোটিস পাঠানোর মাধ্যমে রাজনৈতিক বার্তা পাঠানো এবং সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করা প্রধান লক্ষ্য।