দুদককে দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না: হাইকোর্ট
দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ‘দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না’ মন্তব্য করে হাইকোর্ট বলেছেন, দুদককে দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না। দুদককে কনসার্ন থাকতে হবে সুইস ব্যাংকের জব্দ টাকা ফেরত ইস্যুর বিষয়ে।
রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফের ইস্যুতে করা রিট শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন কথা বলেন। পরে রিটের ওপর শুনানি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
এ সময় দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম আদালতে বলেন, আমরা অবশ্যই কনসার্ন রয়েছি। আমাদের কাছে সব তথ্য রয়েছে। সেগুলো আমরা আদালতে উপস্থাপন করতে পারবো। গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনালের একেএম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীন নন্দী দাস।
রিটকারী আইনজীবীরা জানান, রিটে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনালের, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। এছাড়া আবেদনে দেশি বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও জানান, মুসা বিন শসসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়। রিট আবেদনে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইচ ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশের ব্যাংকে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে বিবাদীদের চরম ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একইসঙ্গে সুইচ ব্যাংকসহ বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের অতীতের এবং বর্তমানে এ ধরনের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়ন পর্যবেক্ষণ এবং নিয়ন্ত্রণে একটি স্পেশাল কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়। পাশাপাশি পাচারের বিষয়ে তথ্য থাকলে প্রকাশ করে পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি নোটিশ জারির আবেদনও করা হয়।