এমসি কলেজে গণধর্ষণ: আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার বিচারের জন্য আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
মামলার বাদীর পক্ষে তার আইনজীবী বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে রয়েছেন ব্যারিস্টার সাবরিনা জেরিন ও ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ুম লিটন।
আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়ে আব্দুল কাইয়ুম।
তিনি বলেন, বর্তমান আদালতে ন্যায় বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা থেকে বাদী এ আবেদন করেছেন।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে তরুণীকে গণধর্ষণ করেন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় আটজনকে অভিযুক্ত করে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। তারা হলেন- সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি, তারেকুল ইসলাম ওরফে তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম ওরফে রাজন, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান ওরফে মাসুম।
এই আট আসামিই বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত ১৭ জনুয়ারি এ মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক। মামলাটি বতর্মানে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।
গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে এক গৃহবধূকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগের একদল কর্মীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী ছয়জনের নাম উল্লেখ করে মোট নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাস দখল করে জঘন্য এ ঘটনায় দেশে ও বিদেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। পরে একে একে আসামিরা গ্রেফতার হন।