জিপিএ-৫ পেলেন ১ লাখ ৬১ হাজার শিক্ষার্থী
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এবার এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। এবার জিপিএ-৫ এর শতকরা হার ১১.৮৩ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৩.৫৪ শতাংশ।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে এবার জেএসসি-এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আজ শনিবার সেই ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে পাস করেছেন শতভাগ শিক্ষার্থী।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ভার্চুয়ালি ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ অনুলিপি গ্রহণ করেন।
মোট জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে সাধারণ ৯টি বোর্ডে পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিমে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম) জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ শিক্ষার্থী।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গেল বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু মহামারি করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়ায় ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে বাতিল করা এইচএসসি পরীক্ষাও। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। পরে পরীক্ষা নেয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত বছরের ২৫ নভেম্বর এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, এইচএসসির ফল নিয়ে বিশেষজ্ঞরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এসএসসি ও জেএসসির ফল মূল্যায়ন করেই এ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এসএসসির ফলের ৭৫ শতাংশ ও জেএসসির ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।সেভাবেই আজ এইচএসসির ফল প্রকাশ করা হলো।