প্রেসক্রিপশনের সূত্রে খুলল গৃহকর্মী হত্যা রহস্যজট
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে লাগেজের ভেতরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদঘাটন করেছে ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারী) সকালে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে নিহত গৃহকর্মী সাবিনার নির্যাতনের ভয়াবহ তথ্য জানিয়েছে পিবিআই।
গ্রেফতারকৃতরা হলনে- আবুল খায়ের মো: জাকির হোসনে সোহাগ (৪৪) ও তার স্ত্রী রিফাত জেসমিন জেসি(৩০)।
ময়মনসিংহের গোলাম সামদানীর মেয়ে জেসির বাসার গৃহকর্মী ছিল সাবিনা। জেসির স্বামী জাকির হোসেন সোহাগ মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। শ্বাসরোধ করে সাবিনাকে হত্যা করে গৃহকর্ত্রী জেসি। পরে লাশ গুম করে উভয়ে মিলে।
এদিকে, হত্যা ও মরদেহ গুমের অভিযোগে দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পিবিআই। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে জেসির স্বামী সোহাগ। দুজনকেই কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
পিবিআই জানায়, ময়মনসিংহ নগরীর গঙ্গাদাস গুহ রোডের তৈমুর এক্সেল টাওয়ারের ১৪ তলার বাসায় গৃহকর্মী সাবিনাকে প্রায়ই মারধর করতেন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সোহাগ ও তার স্ত্রী জেসি।
অসুস্থ থাকায় সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি করায় সাবিনাকে বেধড়ক পেটায় গৃহকর্তী। একপর্যায়ে সাবিনাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাগেজে ভরে মরদেহ গুম করতে স্ত্রীকে সহায়তা করে স্বামী জাকির।
তদন্তভার পেয়ে মামলার কোনো কুলকিনারা পাচ্ছিল না পিবিআই। লাগেজে থাকা প্রেসক্রিপশনের সূত্র ধরেই দুইমাস পর জট খুলল ময়মনসিংহে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধারের। হত্যাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা হয়।
চার বছর আগে মেয়েটি ওই বাসায় কাজে যোগ দিলেও একদিনও দেখা করতে দেয়নি বাবা-মার সঙ্গে। তিনমাস আগে মেয়েকে হত্যা করলেও পুলিশ যাওয়ার পর ২৭ জানুয়ারি জানতে পারেন মেয়ের মৃত্যুর খবর।
উল্লেখ্য, গেল বছরের ৯ নভেম্বর গৌরীপুরের গঙ্গাশ্রম এলাকায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহসড়কের কালভার্টের নিচে ডোবায় লাগেজের ভেতরে গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।