দুদক কাণ্ডে নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ, বাতিল করলেন হাইকোর্ট
দুদক কাণ্ডে ভুল বিচারের মামলার রায়ে নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৫ বছরের জেল ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিশেষ আদালতের ওই রায় বাতিলের পাশাপাশি নিরপরাধ ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানাও প্রত্যাহারের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসএসসির সনদ জালিয়াতির মামলাটি নতুন করে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
হাইকোর্ট বলেছে, ভুল তদন্তে দায়ী তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদককে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। আর নিরপরাধ ব্যক্তি যদি দুদকে ক্ষতিপূরণের আবেদন দেন তাহলে সেটা যেন কমিশন বিবেচনা করেন সেটাই উচ্চ আদালতের প্রত্যাশা।
আদালতে দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান ও কামরুলের পক্ষে মিনহাজুল হক চৌধুরী শুনানি করেন।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর পশ্চিম রাজারামপুরের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়ে সনদ জালিয়াতি করে ভর্তি হন মাইজদী কলেজে। এ ঘটনায় তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলা দায়ের করেন পূর্ব রাজারামপুরের কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পূর্ব-পশ্চিমের ঠিকানার ভুলে সেই দুদক কাণ্ডের শুরু। যার কারণে প্রকৃত আসামি থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। পরে পশ্চিম রাজারামপুরের কামরুলের পরিবর্তে চার্জশিট দেওয়া হয় পূর্ব রাজারামপুরের কামরুলের বিরুদ্ধে। তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। পরে পুলিশ পরোয়ানা তামিল আদেশ প্রতিপালন করতে গেলে তারা প্রকৃত আসামির পরিবর্তে নিরপরাধ ব্যক্তির বিষয়টি উদঘাটন করে আদালতে প্রতিবেদন দেয়।
কিন্তু বিচারের সময় সেটাও আমলে নেননি নোয়াখালীর বিশেষ আদালতের বিচারক। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পূর্ব রাজারামপুরের কামরুলকে ১৫ বছর জেল ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। জারি করা হয় গ্রেফতারি পরোয়ানা। গ্রেফতারের হাত থেকে বাঁচতেই হাইকোর্টে রিট করেন কামরুল। ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করেন।