যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতন, ৪ মাসেও দেয়া হয়নি তদন্ত প্রতিবেদন
নোয়াখালীর সদরের খলিলপুরে ১০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় কয়েক মাস আগে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সুলতানা আক্তার। চার মাস পার হলেও মামলার প্রতিবেদন জমা দেয়নি পুলিশ। এ ব্যাপারে নারী জোটের নেত্রীরা দাবি করে বলেন, ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগী সুলতানা আক্তার জানান, মাইজদীর মাস্টারপাড়ায় কমিউনিটি পুলিশিংয়ে চাকরি করেন রাসেল। চাকরির সুবাদে নোয়াখালীর মাইজদীতে থাকলেও তার বাড়ি কিশোরগঞ্জে। চেনা জানার একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১৬ সালে পাঁচ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন তারা, পরে বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া করে থাকতেন। দাম্পত্য জীবনের একপর্যায়ে ব্যবসার নামে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন রাসেল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় চাপ দিতেন তিনি। পরে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে দফায় দফায় মারধর করতে থাকেন। ২০২০ সালের ১৮ আগস্ট তাকে (সুলতানা) নির্মমভাবে মারধর করলে গুরুতর আহত হয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
তিনি আরো বলেন, দফায় দফায় এমন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ স্বামী রাসেল মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। সুলতানা অভিযোগ করে বলেন, সুধারাম থানা পুলিশ চার মাস পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়নি।
নোয়াখালী জেলা নারী জোটের কর্মকর্তা লায়লা পারভিন ও মুক্তা এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী জানান, মামলার সাক্ষীদের এখনো পুরোপুরিভাবে পাওয়া যায়নি। ফলে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে।