তারা হলিউড তারকা, তারা ক্রিকেটপাগলও
প্রিয় বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এখন অভিনেতা কিংবা অভিনেত্রীর কী কী বিষয় প্রিয় হতে পারে? উত্তরে কেউ হয়তো বলবে- দুর্দান্ত কোনও সিনেমায় চোখ রাখা, নিজের অভিনয়কে শাণিত করা, রূপে-গুণে ও অভিনয়ে দর্শকদের মাত করে রাখা। হ্যাঁ, এরকম উত্তর দিলেও তা ভুল হবে না। কিন্তু ব্যক্তিগত পেশা কিংবা কর্মস্থলের বাইরেও মানুষের আবেগের জায়গা থাকে। ভালোলাগার ক্ষেত্র থাকে।
হলিউডে এমনই ১০ জন তারকার খোঁজ মিলিছে, যারা সত্যিকার অর্থেই ক্রিকেটপাগল। হলিউডের অন্য তারকারা যেখানে ক্রিকেট খেলা বলা যায় দেখেনই না, সেখানে এই ১০ তারকা পুরোপুরি ব্যতিক্রম। তারা নিয়মিত ২২ গজের লড়াইয়ের খবর রাখেন। এমনকি সুযোগ পেলে ক্রিকেটাঙ্গনে বিনিয়োগও করেন। কারা সেই ক্রিকেটপ্রেমী ১০ হলিউড তারকা-
১. হিউ জ্যাকম্যান: এই হলিউড অভিনেতার টেস্ট ক্রিকেটের দারুণ ভক্ত। একটা সময় নাকি মাঠে ৫ দিনই খেলা দেখতে যেতেন। ‘উলভারিন’ খ্যাত এ অভিনেতা কলেজজীবনে রাগবি আর ক্রিকেট দুটোই সমান তালে খেলেছেন। রুপালি পর্দার জীবনে না এতে তিনি নাকি ক্রিকেটারই হতেন।
২. ড্যানিয়েল র্যাডক্লিফ: হ্যারি পটার নায়ক ফুটবলের অন্ধভক্ত, এটা অনেকেরই জানা। কিন্তু তিনি যে ক্রিকেটকেও সমানভাবে আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে নিয়েছেন তা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। এক সাক্ষাৎকারে র্যাডক্লিফ বলেছিলেন- ‘আমি এখনও ক্রিকেট ভালোবাসি। আর কম্পিউটারে ক্রিকেট গেমস-এ তো আমায় বিশেষজ্ঞই বলা হয়।’
৩. রাসেল ক্রো: নিউজিল্যান্ডের বিখ্যাত ক্রিকেটার মার্টিন ক্রো আর জেফ ক্রো’র ভাতিজা রাসেল ক্রো। অস্কারজয়ী এ অভিনেতা পারিবারিকভাবেই ক্রিকেটের আবহে বড় হয়েছেন। তাই ক্রিকেটের প্রতি তার দুর্বলতা নতুন করে বলার কিছু নেই।
৪. মার্ক ওয়েলবার্গ: এই মার্কিন অভিনেতা ক্রিকেটটাকেই নিজের ধর্ম মনে করেন। ‘ডিপার্টেড’ ও ‘প্ল্যঅনেট অফ দ্য অ্যাপস’ ছবির জনপ্রিয় এ অভিনেতা বার্বাডোজের একটি ক্রিকেট দলে আংশিক বিনিয়োগও করেছেন।
৫. এলটন জন: খ্যাতিমান ব্রিটিশ গায়ক এলটন সেই শৈশব-কৈশোর থেকেই ক্রিকেটের ভক্ত। ১৯৮৬-৮৭ সালে ইংল্যান্ড অ্যাসেজ জেতার পর ইয়ান বোথামকে তিনি মেলবোর্নে তার হোটেল রুমে ডেকে নিয়েছিলেন। দু’জনে মিলে রাতভর পার্টি করেছিলেন। এলটন অবশ্য ওয়ানডে ম্যাচ খুব একটা পছন্দ করেন না। তার ভোট টেস্ট ক্রিকেটের বাক্সে।
৬. এরিক ক্ল্যাপটন: এই ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী মনেপ্রাণে ক্রিকেটের ভক্ত। একটা সময় নিয়মিতই মাঠে যেতেন। আর সেগুলো আবশ্যিকভাবেই ছিল টেস্ট ম্যাচ। মাঝেমধ্যে ক্রিকেটের অনুষ্ঠানে পারফর্মও করতেন। তার কথায়- ‘ক্রিকেট খেলতে আমার মোটেও ভালো লাগে না। তবে খেলাটা দেখতে অসাধারণ লাগে।’
৭. মিক জ্যাগার: ‘রোলিং স্টোনস’ খ্যাত নন্দিত গায়ক ক্রিকেটের জন্য এতটাই পাগল ছিলেন যে, ১৯৯৭ সালে ‘জ্যাগড ইন্টারনেটওয়ার্কস’ নামে একটি ইন্টারনেটভিত্তিক সংস্থা চালু করেছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি খেলা দেখতেন। তিনি আমেরিকায় বসেই শারজায় ইংল্যান্ডের ম্যাচে দেখতেন।
৮. লিলি অ্যালেন: ক্রিকেটকেই ‘রিয়েল প্যাশন’ ভাবেন এই গায়িকা। তার ভাষ্য- ‘খেলাটার (টেস্ট ম্যাচ) সৌন্দর্য আমায় মুগ্ধ করে। এ যেন সবুজের সঙ্গে সাদার লড়াই। খেলা দেখতে দেখতে স্ট্যান্ডে বসে পান করা যায়, এটা তো ফুটবলে সম্ভব নয়।’
৯. স্যাম মেন্ডেজ: লর্ডস-এর বক্সে মাঝেমধ্যেই অস্কারজয়ী এই ব্রিটিশ পরিচালককে দেখা যায়। ক্রিকেট নিয়ে তার উপলব্ধি- ‘ফুটবল অনেকটা সিনেমার মতো। ৯০ মিনিটের একটা দ্রুত বিনোদন। কিন্তু ক্রিকেট থিয়েটারের মতো। সবটুকু সময় দিয়ে এর আনন্দ উপভোগ করতে হয়।’
১০. পিয়েরস মরগান: যুক্তরাজ্যের ঐতিহ্যবাহী ট্যাবলয়েড ‘ডেইলি মিরর’ এর প্রাক্তন সম্পাদক ও মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’ চ্যানেলের শো-হোস্ট মরগান এমনিতে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব আর্সেনালের সমর্থক। তবে ক্রিকেটের প্রতিও তিনি সমানভাবে দুর্বল। জন্মশহরে এক প্রীতিম্যাচে একবার তিনি খেলতে নিয়েছিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসনকে।