নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ
নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে খুলনা অঞ্চলে নৌযান চলাচলে অচলাবস্থা নেমে এসেছে। এতে অচল হয়ে গেছে খুলনা ও মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামার কাজও।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এ ধর্মঘট শুরু করে।
১১ দফা দাবি আদায়ের জন্য অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘটে খুলনার বিআইডব্লিউটিএর ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ঘাট এবং রুজভেল্ট জেটিতে অবস্থানরত জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করা হয়নি।
ধর্মঘটের কারণে খুলনা লঞ্চঘাট থেকে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি বা আসেনি। মোংলা বন্দর থেকে নিকটবর্তী বিভিন্ন ঘাটে নৌযান চলাচল করছে না।
শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি হলো– ১. বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধ করা; ২. ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন দেওয়া; ৩. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্য ভাতা দেওয়া; ৪. সব নৌযান শ্রমিকের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ; ৫. এনড্রোস, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ; ৬. কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ; ৭. প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক দেওয়া; ৮. নদীর নাব্যতা রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন; ৯. মাস্টার/ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও সনদ নবায়ন, বেআইনি নৌচলাচল বন্ধ করা; ১০. নৌপরিবহন অধিদফতরে সব ধরনের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ এবং ১১. নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
ধর্মঘটের ফলে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য বন্দরের জেটিতে আনা-নেওয়া এবং বন্দর থেকে নৌপথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহন বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে মোংলা বন্দরে ধর্মঘটের কারণে এখান থেকে সারাদেশে প্রধানত নদীপথে পণ্য পরিবহন কার্যক্রমে স্থবিরতা তৈরি হয়েছে।
এতে খুলনা ও মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সব দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্যবোঝাই-খালাস কাজ বন্ধ থাকায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন আমদানি-রপ্তানিকারকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।