প্রশ্নের মুখে ‘সততা’, আইপিএলে দল হারাচ্ছেন স্মিথ!
বল বিকৃতির কারণে একবার নির্বাসনের মতো শাস্তি পেয়েছেন স্টিভ স্মিথ। এবার আরও একবার তার সততা নিয়ে প্রশ্ন উঠল।যদিও এবার হয়তো আগের মতো নিষিদ্ধ হতে হবে না তাকে, কিন্তু তার আচরণকে অক্রিকেটীয় বলেই মনে করছেন অনেকে।
কেপটাউন টেস্টের কথা এখনও সবার মনে পড়ে। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই টেস্টে বল বিকৃতি ঘটিয়েছিলেন সেই সময়কার অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তবে শাস্তি পেয়ে ফের ক্রিকেট মাতাচ্ছেন এই তারকা। কিন্তু বিতর্ক তার পিছু ছাড়েনি। সদ্য শেষ হওয়া সিডনি টেস্টে উইকেট নষ্ট করে ফের আলোচনায় স্মিথ।
ভারত-অস্ট্রেলিয়া মধ্যকার এই টেস্টের পঞ্চম দিন ঋষভ পন্থ ও চেতশ্বর পুজারা ব্যাটিংয়ে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান। কিন্তু সিডনিতে স্মিথকে নায়ক ও ভিলেন দুই চরিত্রেই দেখা গেল। তিনি অজিদের হয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে যথাক্রমে ১৩১ ও ৮১ রান করেন। অবশ্য সেই স্মিথ পঞ্চম দিনে এমন কাজ কেন করে বসলেন! যেন মাঠে বিপক্ষের দাপট তিনি বরদাস্ত করতে পারেন না।
এদিন পানি পানের বিরতির সময় পন্থ যখন পানীয় নিতে গেলেন, স্মিথ ফিল্ডিং থেকে পিচের ওপর এলেন। তারপর পন্থের ক্রিস মার্কস তুলে দিলেন পা দিয়ে ঘষে। কিন্তু স্মিথ হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন, আধুনিক ক্রিকেট প্রযুক্তি নির্ভর। এখন চুরি করে পার পাওয়া সহজ নয়। স্মিথের কাণ্ড ধরা পড়ল ক্যামেরায়। আর স্টাম্প ক্যামেরায় তোলা সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেও বেশি সময় লাগল না।
সাবেক অজি অধিনায়ক এই ম্যাচের এক পর্যায়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্থের ব্যাটিং গার্ড মুছে ফেলার চেষ্টা করেন। পন্থ তখন রীতিমত মারমুখী ব্যাটিং করছেন, তখন ক্রিজে দাঁড়িয়ে ব্যাটিং গার্ডের জায়গাটা পা দিয়ে ঘসতে দেখা যায় তাকে। ক্যামেরায় সেই দৃশ্য ধরা পড়ার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছেন ভারতীয় সমর্থকরা। যদিও পন্থ এসে ফের নিজের ব্যাটিং গার্ড তৈরি করে নেন। তবে ভিডিওটি ভাইরাল হতেই স্মিথকে ‘অসৎ’ তকমা দিচ্ছেন নেটিজেনদের একাংশ।
এদিকে ঘটনা এবার ভিন্ন মোড় নিচ্ছে বলে আভাস দিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, আইপিএলে দল হারাতে যাচ্ছেন স্মিথ। আইপিএলের গত আসরে তিনি রাজস্থান রয়্যালসের নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরের আসরে হয়তো তাকে আর এই ভূমিকায় দেখা যাবে না। যদিও মনে করা হচ্ছে, গত আসরে তার পারফরম্যান্সের কারণে তাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার নেতৃত্বে গতবার লিগ টেবিলে সবার শেষে ছিল রাজস্থান। আর ব্যাট হাতে ১৪ ম্যাচে ৩১১ রান করেছিলেন তিনি।