এমসিতে গৃহবধূ গণধর্ষণ: ৮ আসামির বিচার শুরু
সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গঠনের মধ্য দিয়ে আলোচিত এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মোহিতুল হক চৌধুরীর আদালতে এ অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। এসময় ৮ আসামিকেই কারাগার থেকে আদালত হাজির করা হয়।
চার্জশিটভুক্ত ৮ আসামি হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল, মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়া, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম।
এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের ৮ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।
অভিযোগে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এই ৮ আসামিই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট এমসি কলেজ এলাকায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে আসেন এক গৃহবধূ। পরে ওই গৃহবধূকে স্বামীসহ কলেজ ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে মারধর করে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে আসামিরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
ওই দিন রাতেই ভুক্তভোগীর স্বামী বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২/৩ জনকে আসামি করা হয়। এরপরই বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এমসি কলেজের এ ধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে সারা দেশ ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন গড়ে উঠে। এরইমধ্যে জনদাবির মুখে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ধর্ষণবিরোধী আইন সংশোধন করে সরকার।