এক বছরে যত অস্ত্র-মাদক-চোরাই গাড়ি উদ্ধার ডিএমপির
চলতি বছর অপরাধ দমন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানা ও গোয়েন্দা বিভাগ ১৩২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারসহ ২১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ১৩৫টি মামলা রুজু হয়েছে।
এ সময়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ ১৬ হাজার ৫২৯ জন গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ১১ হাজার ১১৬টি মামলা রুজু হয়েছে। এছাড়া ৩৮৬টি চোরাই গাড়ি উদ্ধারসহ ৩১০টি মামলায় ১৪৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উদ্ধার অস্ত্র-গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের মধ্যে রয়েছে- ৩৭টি বিদেশি পিস্তল, ১৯টি বিদেশি রিভলবার, ৩১টি দেশি পিস্তল, ৪টি দেশি রিভলভার, ৩টি শটগান, ৬টি ওয়ান শুটারগান, কাটা রাইফেল ৩টি, পাইপগান ৪টি, এসবিবিএল ১টি, ২৪টি অন্যান্য অস্ত্র, ৭৮৯ রাউন্ড গুলি, ২৯টি ম্যাগজিন, ১২৫টি কার্তুজ, ৪২টি ককটেল, ৩ হাজার ৩৪৩টি পটকা, একবস্তা তুফান চকলেট, সানরাইজ ৬ পিস, কালার কালেকশন ৫ প্যাকেট, কালার কটি ২ প্যাকেট, ললিপপ ২ প্যাকেট, ট্যাংগু ১ প্যাকেট, তুফান চকলেট ৯ প্যাকেট, কোবরা ৪৫ প্যাকেট ও গান পাউডার ২৯০ গ্রাম।
উদ্ধার মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে- ৩ হাজার ৯০০ কেজি ৩৫৯ গ্রাম গাঁজা, ৪৯ কেজি ৪৪৭ গ্রাম হেরোইন, ২৮ লাখ ২ হাজার ৪৯৫ পিস ইয়াবা, ৪২ হাজার ৭১২ ক্যান বিয়ার, ৬৪ হাজার ৭৫৬ বোতল ফেনসিডিল, বিদেশি মদ ২ হাজার ৮৭০ বোতল ১৭৪ লিটার, অ্যাস্পুল ইনজেকশন ৭ হাজার ৭৪৩ পিস, চোলাই মদ ৫ হাজার ৯৫২ লিটার, দেশি মদ ৩ হাজার ৩৭২ বোতল, কোকেন ১ কেজি, ওয়াস ১০০ লিটার ৫৫০ গ্রাম, এমফিটামিন ১২ কেজি ৯৩০ গ্রাম, মিথাইল ৬২৭ লিটার, আইসোপ্রপানন ২১৫ লিটার, ট্যাপেন্ডটাইন্ড ট্যাবলেট ৩৬ হাজার ৭৬০ পিস, ব্রফেনরফিন ইনজেকশন ১ হাজার ৯৮০ পিস ও ন্যালবুফিন হাইড্রোক্লোরাইড ২৬ মিলিলিটার।
উদ্ধার চোরাই গাড়ির মধ্যে রয়েছে- ১১টি বাস, ২০টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ৭২টি প্রাইভেটকার, ৫৩টি জিপ/পিকআপ, ২৯টি বেবি ট্যাক্সিসিএনজি, ৬টি ট্যাম্পু/লেগুনা, ১৭৭টি মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস ১৮টি।