লিটন গোলাপি বলের রং চিনতে পারছেন না

0

দৃষ্টি-পরীক্ষা (ভিশন টেস্ট) হওয়ার সময় ধরা পড়ল বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক লিটন দাস গোলাপি বলের রং চিনতে পারছেন না। ফলে বল দেখতে সমস্যা হচ্ছে তার। এমনই খবর বাংলাদেশ শিবির সূত্রে। ফলে ভারতের বিরুদ্ধে ইডেন টেস্টে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষা কে করবেন তা নিয়েই চিন্তা বেড়েছে রাসেল ডোমিঙ্গোর দলে।- খবর আনন্দবাজার

চলতি সিরিজ শুরুর আগেই মুশফিকুর রহিম জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ব্যাটিংয়ে মন দিতে চান। ভারত সফরে উইকেটরক্ষা করবেন না তিনি। ফলে বাংলাদেশ শিবিরে প্রশ্ন এখন, মুশফিকুরের পরিবর্তে সিরিজে উইকেটরক্ষার দায়িত্বে থাকা লিটন যদি খেলতে না পারেন, তা হলে সেই জায়গায় কে খেলবেন? বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল হক যদিও বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে বলে গেলেন, ‘‘এখনও চূড়ান্ত দল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।’’ তবে গোলাপি বল নিয়ে তার দল যে স্বস্তিতে নেই তা কথাবার্তায় বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাংলাদেশ অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, লাল বলে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেট না গোলাপি বলে দ্বৈরথ দেখতে দর্শক ঠাসা স্টেডিয়াম, কোনটা পছন্দ করবেন? উত্তরে মমিনুল বললেন, ‘‘ক্রিকেটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা জরুরি। তবে দর্শকরা গোলাপি বলে নৈশালোকে টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করবে।’’ যোগ করেন, ‘‘তবে খেলব তো ক্রিকেট-ই। গোলাপি বলের চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি আমরা।’’

লিটনের যে গোলাপি বলে সমস্যা হচ্ছে, তা বুধবার সকালে বাংলাদেশের অনুশীলনেই বোঝা গিয়েছিল। নেট বোলার ইরফানের বলে ন’বার বোল্ড হয়ে যান তিনি। তার পরে এ দিন দৃষ্টি-পরীক্ষায় দেখা যায়, লিটন গোলাপি বল নাকি দেখতে পাচ্ছেন না। সমস্যা হচ্ছে। লিটন এ দিন তিনি অনুশীলনও করেননি। বাংলাদেশ দল যখন সন্ধ্যার ইডেনে মন দিয়ে নেটে ব্যাটিং ও বোলিং-প্রস্তুতি সারছিল, তখন ক্লাব হাউসের বারান্দায় পায়চারি করছিলেন লিটন। পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলতেও দেখা যায় তাকে। ছোটবেলা থেকেই কলকাতায় খেলতে আসছেন লিটন। ফলে সিএবি-র অনেকের সঙ্গেই তাঁর পরিচিতি রয়েছে। ইডেনে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের স্কোরারের সঙ্গেও পারিবারিক গল্প করছিলেন তিনি। কিন্তু কেন অনুশীলন করলেন না, তা জানতে চাইতে ড্রেসিংরুমে চলে যান লিটন।

ফলে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাংলাদেশ শিবিরে বিকল্প খোঁজাও শুরু হয়েছে বলে খবর। মোহাম্মদ মিঠুন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে রংপুর রাইডার্সের হয়ে উইকেটরক্ষক হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। ফলে ইডেনে ঐতিহাসিক টেস্টে বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক হিসেবে মিঠুনকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ তিন পেসার নিয়ে পাল্টা ভারতীয় শিবিরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করছে, তা এ দিন অনুশীলনে স্পষ্ট। নেটে ভালো ছন্দেই বল করতে দেখা গিয়েছে পেসার আল আমিন হোসেন, আবু জায়েদকে। তৃতীয় পেসার হিসেবে কে? মোস্তাফিজুর রহমান নাকি ইবাদত হোসেন? এ দিনের প্রস্তুতি বলছে, হয়তো দলে ঢুকতে পারেন মোস্তাফিজুর। এ দিন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলিং কোচ শার্ল ল্যাঙ্গভেল্ট মাঠের মাঝখানে অফস্টাম্প ও লেগস্টাম্প রেখে টানা বল করাচ্ছিলেন মোস্তাফিজুরকে। বার বার বলছিলেন মিডল স্টাম্পে বল ঢুকিয়ে আনতে। অর্থাৎ মোস্তাফিজুরের কাটার ও ইনসুইঙ্গার ভরসা অধিনায়ক মমিনুল হকের। বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেও দিচ্ছেন, ‘‘অঘটন ঘটাব তা বলছি না, যা প্রস্তুতি হয়েছে তা ঠিকঠাক কাজে লাগাতে চাই মাঠে নেমে। সঙ্গে প্রথম টেস্টে যে ভুলভ্রান্তি হয়েছিল, তা আর করতে চাই না।’’

মোমিনুল মানছেন গোলাপি বলে ভারতীয় পেসারদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। তার কথায়, ‘‘গোধূলিতে গোলাপি বলে খেলা কঠিন। তার উপরে ভারতের তিন বিশ্বমানের সেরা পেসারের বল খেলাটাও একটা চ্যালেঞ্জ।’’

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com