তাইওয়ান প্রণালীতে নতুন উত্তেজনা

0

আবার উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে তাইওয়ান প্রণালীতে। চীনের অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী শানডং তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে দক্ষিণ চীন সাগরে গেলে এই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আর এর জবাব দিতে সেনাবাহিনী প্রস্তুতি রেখেছে তাইওয়ান।

একই সামুদ্রিক পথে একটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ অতিক্রম করার মাত্র এক দিন পরই তাইওয়ান প্রণালী হয়ে চীনা যুদ্ধজাহাজ শানডংয়ের এই যাত্রা।

চীনের নৌবাহিনী বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরে অনুশীলনের উদ্দেশে রোববার শানডং ও এর সাথে থাকা জাহাজগুলো স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালী হয়ে ‘স্বাভাবিকভাবে’ অতিক্রম করেছে। এদিকে চীনা রণতরীগুলোর ওপর নজরদারি করার জন্য তাইওয়ানও রণতরী পাঠিয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় বড় ধরণের আঞ্চলিক দাবি রয়েছে চীনের। তাইওয়ান প্রণালী নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে।

চীনা নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহড়াগুলো ‘বার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী সাধারণ আয়োজনের’ অংশ। ‘প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আমরা এই মহড়াগুলো চালু রাখবো।’

স্বশাসিত তাইওয়ানকে নিজ ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দাবি করে আসছে চীন। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও তাইওয়ানকে মূল ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করতে চায় কমিউনিস্ট চীন। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন সরকার ও জনগোষ্ঠী চীনের আধিপত্য মেনে নিতে নারাজ। সাম্প্রতিক সময়ে এই দুই অঞ্চলের উত্তেজনা দিন দিন বেড়েই চলছে।

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সরকার বলছে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে প্রায় প্রতিদিনই তাদের আকাশসীমায় চীনা সশস্ত্র বাহিনীর অনুপ্রবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিজেদের অংশ বলে মনে করা তাইওয়ানের সাথে চীনের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই তাইওয়ান প্রণালীতে চীনের এই বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।

তাইওয়ানের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয় বলেছে, শানডং চারটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তর চীনের ডালিয়ান বন্দর থেকে রওনা হয়েছিল। ওয়েবসাইটের এক বিবৃতিতে তারা জানায়, রণতরীর বহরটি দক্ষিণের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

তাইওয়ান জানিয়েছে, চীনা জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে তারা ছয়টি যুদ্ধজাহাজ এবং আটটি সামরিক বিমান পাঠিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নিজের জন্মভূমি রক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আমাদের সেনাবাহিনী সক্ষম ও আত্মবিশ্বাসী।’

শানডং চীনের দ্বিতীয় বিমানবাহী জাহাজ। প্রায় এক বছর আগে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছিল।

চীনা নৌবাহিনী জানায়, চালুর পর থেকে এটি তার বিমানগুলোকে উড্ডয়ন, অবতরণ এবং অস্ত্রগুলোর ব্যবহারে সফল হয়েছে।

শানডংয়ের সঙ্গী যুদ্ধজাহাজগুলোর বিষয়ে তারা বলেন, ‘পরীক্ষামূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গঠন ব্যবস্থায় যুদ্ধের সামর্থ্যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে।’

চীন তার বিমানবাহী রণতরীগুলোকে আরো শান্তি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় তাদের অভিজ্ঞতা এখনো কম। আমেরিকা গত কয়েক দশক ধরে অসংখ্য জাহাজসহ একীভূত যুদ্ধজাহাজের দলকে পরিচালনা করে আসছে।

সূত্র : আলজাজিরা

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com