এরদোগান যে কবিতা আবৃত্তি করায় নতুন আতঙ্কে ইরান

0

আজারবাইজান সফরকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের আবৃত্তি করা কবিতা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে “অনধিকার চর্চা” উল্লেখ তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে।

সদ্য শেষ হওয়া নাগার্না-কারাবাখ যুদ্ধে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে আজারবাইজানের বিজয় উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিজয় উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন এরদোগান। সেখান দেওয়া বক্তব্যে এরদোগান ১৯ শতকে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে আজারবাইজানের ভূখণ্ডের বিভাজন সম্পর্কে একটি আজেরি-ইরানি কবিতা আবৃত্তি করেন।

তেহরান এতে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করে জানায় যে এরদোগানের এ কবিতা আবৃত্তির ফলে ইরানের আজেরি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার তার ওয়েবসাইটে জানায়, “তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করা হয়েছে যে আঞ্চলিক দাবী এবং সম্প্রসারণবাদী সাম্রাজ্যের যুগ শেষ হয়ে গেছে।”

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল যেখানে আজেরি নৃ-গোষ্ঠীর অনেকেই বসবাস করেন, সে সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেছিলেন, “আমাদের প্রিয় আজারবাইজান সম্পর্কে কেউ কথা বলতে পারে না।”

ইরানের আইএসএনএ নিউজ এজেন্সি অনুসারে, “আবৃত্তি করা কবিতাটি প্যান-তুর্কিবাদের প্রতীকগুলোর একটি।”

এরদোগানের আবৃত্তি করা কবিতাটি হলো,“তারা আরস নদীকে পৃথক করেছে এবং এটি পাথর ও রড দিয়ে ভরে ফেলেছে। আমি তোমার থেকে আলাদা হবো না। তারা আমাদের জোর করে আলাদা করেছে। ”

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায় তারা এরদোগানের “হস্তক্ষেপবাদী এবং অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য” নিয়ে তেহরানে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ও “তাৎক্ষণিক ব্যাখ্যা” দাবি করেছে।

এক বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ইরান কাউকে তার আঞ্চলিক খণ্ডতায় হস্তক্ষেপ করতে দেবে না।

উল্লেখ্য, তুরস্ক ও আজারবাইজান সীমান্তের ইরানের পশ্চিম আজারবাইজান, পূর্ব আজারবাইজান ও আর্দালান প্রদেশে আজেরি জাতি গোষ্ঠীর বিরাট একটি অংশের বসবাস।

সূত্র : আল জাজিরা

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com