প্রায় দুই মাস পর নয়াপল্টনে রিজভী
প্রায় দুই মাস পর নয়াপল্টনের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসেন। লাঠিতে ভর করে খুব ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে তিন তলার নিজের দফতরে বসেন রিজভী।
কুশল বিনিময় করেন অফিস কর্মীদের সাথে। তাদের শারীরিক অবস্থা, পরিবারের খোঁজখবর নেন তিনি।
এদিকে অনেকদিন পর প্রিয় নেতার দলীয় কার্যালয়ে আসাকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মধ্যে অন্যরকম উৎসাহ-আনন্দ কাজ করছে। কাছাকাছি থাকা কয়েকজন নেতাকর্মী ছুটে আসে তাদের প্রিয় রিজভী ভাইকে কাছে থেকে একনজর দেখতে। মাস্ক পরে রুমে ঢুকে রিজভীকে সালাম দেন তারা।
অফিস কর্মীদের সাথে উঠোন বৈঠকের মতো বসে নিজের অসুস্থতার সেই দিনগুলোর স্মৃতি রোমন্থন করেন রিজভী।
বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে রিজভী বলেন, ‘এখন অনেকটাই সুস্থ বোধ করছি। রিং পরানোর পর আমাকে অনেক সর্তকতার সাথে চলতে হচ্ছে। যেটা আগে কখনোই আমি করিনি। এই করোনাকালে কত জায়গায় আমি মানুষের কাছাকাছি গিয়েছি তার কোনও হিসাব নেই।’
এখন থেকে আগের মতো প্রতিদিন দলীয় কার্যালয়ে আসবেন কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন অফিসে আসার চেষ্টা করবো, যদি শরীরটা এরকম ভালো থাকে।’
রিজভী বলেন, ‘মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমতে আমি সুস্থ হয়েছি। আমার সুস্থতার জন্য দেশ-বিদেশে কর্মী-সমর্থকসহ দেশবাসী দোয়া করেছে, মিলাদ পড়েছেন, রোজা রেখেছেন, প্রার্থনা করেছেন। আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সুস্থ রাখুন, হেফাজতে রাখুন।’
সর্বশেষ বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব নয়াপল্টনে অফিস করেন গত ১২ নভেম্বর। এর পরদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের একটি মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিজের গাড়িতে উঠার পরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয় তিনি। এরপর তাকে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি হন রিজভী। গত ২১ নভেম্বর তার হৃদযন্ত্রে এনজিওপ্লাস্টের মাধ্যমে রিং পরানো হয়। চার দিন সুস্থ হয়ে তিনি মোহাম্মদপুরের বাসায় ফেরেন।
গত ৩ ডিসেম্বর রিজভীর সহধর্মিনী আরজুমান আরা বেগম ও শ্যালিকা তাহমিনা বেগমের করোনা পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসে।
স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে বর্তমানে তিনি আরেকটি বাসায় আছেন। রিজভী জানান, তার সহধর্মিনী ও শ্যালিকা সুস্থ আছেন, তেমন কোনও উপগর্গ নেই। চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন তারা।