বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর বাণী

0

“জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষনা করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। এই দিনে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক মানবিক অধিকারহারা নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। যারা বাক, ব্যাক্তি, চিন্তা, প্রার্থনা, মূদ্রণসহ নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সোচ্চার হতে গিয়ে ক্ষমতাসীন ও স্বেচ্ছাচারী গোষ্ঠির নৃশংস নিপীড়নে জীবন দিয়েছেন তাদের আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষদের প্রতি জানাচ্ছি সহমর্মিতা।

আজও বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে মানুষ একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন, গোষ্ঠী, বর্ণ ও জাতিগত সংঘাতে অবলীলায় খুন ও গুপ্ত হত্যার শিকার হচ্ছে এবং গুম তথা অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে নানা বয়সী অসংখ্য প্রাণ। জাতিসংঘের সার্বজনিন ঘোষনায় বলা হয়েছে-বিশ্বের সব জাতির সকল মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষনের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। কিন্তু দেশে দেশে নিষ্ঠুর স্বৈরাচারী শাসকেরা জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সার্বজনিন ঘোষনার নির্দেশনাগুলোকে তাচ্ছিল্য করে নিজ দেশের জনগণের উপর চালিয়ে যাচ্ছে বর্বোরোচিত দমন-পীড়ণ। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য ন্যায়-নীতি অগ্রাহ্য করতে হয়, আর সেজন্য এই সকল গণবিরোধী শাসক গোষ্ঠী জনগণের মানবাধিকারের তোয়াক্কা করেনা। দুঃশাসনের অচলায়তন তৈরী করতে গিয়ে তারা প্রতিবাদী জনগণের উপর চালায় পৈশাচিক উৎপীড়ন। যারা সত্য উচ্চারণ করতে চায় তারা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক, পেশাজিবিসহ নাগরিক সমাজের যেই হোকনা কেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং কারাবাস, শারিরিকভাবে নির্যাতনসহ জখম, হত্যা ও গুমেরও শিকার হতে হয়।

‘মানবাধিকার দিবস’ এর এ বছরের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে “মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা” অর্থাৎ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষার প্রধান দায়িত্ব তরুণদের। তাই তাদের সংঘবদ্ধ হয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে জনগণের না আছে নাগরিক স্বাধীনতা, না আছে মৌলিক মানবিক অধিকার। দেশের বিপুল জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সকল ধরণের মানবাধিকার কেড়ে নিয়ে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে তাঁকে অন্যায়ভাবে বন্দী করা হয়েছে। তিনি স্বৈরশাসকের প্রতিহিংসার শিকার।

সুতরাং এই নৈরাজ্যকর দুঃশাসনের ছোবল থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের এই মূহুর্তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। আর সেজন্য গণতন্ত্র পূণ:রুদ্ধারের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন তরান্বিত করতে হবে। দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের মিলিত কন্ঠের আওয়াজ তুলে বর্তমান অপশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গিকার।”

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com