দলকে ‘নার্ভাস নাইন্টিজে’ রেখে মুমিনুলের বিদায়

0

দলের মহাবিপদের সময় শক্ত হাতে হাল ধরেন অধিনায়ক মুমিনুল হক এবং মুশফিকুর রহিম। দুজনের ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের স্কোর একশর কাছে চলে যায়। মাত্র ৩১ রানে তিন উইকেট হারানোর পর এই দুজন মিলেই দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যান। যদিও ইতিমধ্যে সহজ ক্যাচ দিয়েও দুইবার জীবন পেয়েছেন মুশফিক। তবে এই জুটি দলকে একশ পার করাতে পারেনি। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন ৮০ বলে ৩৭ রানা করা মুমিনুল। ভাঙল ৬৮ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। ৪ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর ৯৯।

ইন্দোরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১২ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম তিন ওভারে কোনো রান নিতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ ওভারে একটি করে সিঙ্গেল নেন দুই ওপেনার। উমেশ যাদবের করা ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে দৃষ্টিকটূ শট খেলতে গিয়ে থার্ড স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন ১৮ বলে ৬ রান করা ইমরুল। সাদমানও (৬) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ইশান্ত শর্মার বলে আলগা শট খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারে গ্লাভসে বল পাঠিয়ে দেন তিনি।

এই পরিস্থিতিতে মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে বিপদ সামলানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ১১ ওভারের মতো কাটিয়ে দেন তারা। ১৮তম ওভারের শেষ বলে মিঠুনকে (১২) লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি। উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। মধ্যাহ্ণ বিরতি পর্যন্ত এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দলকে এগিয়ে নিয়ে যান। ২৩.৬ ওভারে ৫০ স্পর্শ করে বাংলাদেশ। ৩ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরাট কোহলি ক্যাচ ছাড়ায় দুইবার জীবন পান মুশফিক।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৭ ব্যাটসম্যান ও ৪ বোলার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। ফর্মহীনতার কারণে একাদশে জায়গা হয়নি তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের। একাদশে জায়গা পেয়েছেন মোহাম্মদ মিঠুন। অন্যদিকে তিন পেসার নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজিয়েছে ভারত। স্পিন আক্রমণে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com