ফিলিপসের রেকর্ড সেঞ্চুরিতে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

0

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। একমাত্র দল হিসেবে তাদেরই রয়েছে দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার রেকর্ড। কিন্তু এসব কীর্তির সঙ্গে তাদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স মেলানোর কোনো সুযোগই নেই। কেননা একের পর এক ম্যাচ হেরে র‍্যাংকিংয়ে বেশ নিচে নেমে গেছে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশিবার বিশ্বজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

গত শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ১৬ ওভারে ১৮০ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও জিততে পারেনি ক্যারিবীয়রা। আর আজ (রোববার) সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ড গড়েছে রেকর্ডগড়া সংগ্রহ। যার জবাব দিতে নেমে হালে পানি পায়নি কাইরন পোলার্ডের দল।

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৮ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় নিউজিল্যান্ড। রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরি করেন গ্লেন ফিলিপস, জুটির রেকর্ড গড়েন ডেভন কনওয়ের সঙ্গে। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস থামে ১৬৬ রানে। ফলে ৭২ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা।

মার্টিন গাপটিল ও টিম সেইফার্টের ব্যাটে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ৪৯ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড, ১০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২ উইকেটে ৮৪ রান। সেখান থেকে শেষের দশ ওভারে আরও ১৫৪ রান যোগ করে কিউইরা। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৪ ওভারের স্পেলে পঞ্চম সর্বোচ্চ ৬৪ রান খরচ করেন কেমো পল।

দলীয় ৪৯ রানের মাথায় সেইফার্ট (১৩ বলে ১৮) ও ৫৩ রানের সময় সাজঘরে ফেরেন ২৩ বলে ৩৪ করা গাপটিল। তখনও পর্যন্ত খেলা হয়েছিল মাত্র ৬.২ ওভার। এরপর ক্যারিবীয়দের ওপর স্টিম রোলার চালান ডেভন কনওয়ে ও গ্লেন ফিলিপস। ইনিংসের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ভাঙে এই জুটি।

মাঝের ১৩.৩ ওভারে নিউজিল্যান্ডের দলীয় সংগ্রহে যোগ হয় ১৮৪ রান! যা কি না দেশটির টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড। এছাড়া সবমিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বের চতুর্থ সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি। উদ্বোধনী জুটি বাদে হিসেব করলে এটিই সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড।

ইনিংসের সপ্তম ওভারে চার নম্বরে নামা গ্লেন ফিলিপস আউট হন শেষ ওভারে। মাঝে তিনি মোকাবিলা করেন ৫১টি ডেলিভারি। যেখানে ১০ চার ও ৮ ছয়ের মারে খেলেন ১০৮ রানের ঝড়ো ইনিংস। মাত্র ৪৬ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। যা কি না নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।

ফিলিপস আউট হলেও অপরপ্রান্তে শেষপর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ডেভন কনওয়ে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪টি করে চার ও ছয়ের মারে ৩৭ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। এ দুজনের ব্যাটে ভর করেই ২৩৮ রানের পাহাড়ে চড়ে নিউজিল্যান্ড। যা পরে জয়ের জন্য অনেক বেশি প্রমাণিত হয়।

২৩৯ রান তাড়া করতে নেমে কখনও মনে হয়নি ম্যাচটি জিততে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইরন পোলার্ড ২৮, কেমো পল ২৬*, শিমরন হেটমায়ার ২৫, কাইল মেয়ারস ২০, আন্দ্রে ফ্লেচার ২০ ও অতিরিক্ত খাত থেকে ১৫ রান আসলে ক্যারিবীয়রা ৯ উইকেট হারিয়ে থামে ১৬৬ রানে, ম্যাচ হেরে যায় ৭২ রানের বড় ব্যবধানে।

নিউজিল্যান্ডের পক্ষে বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচায় ২ উইকেট নেন। এছাড়া মিচেল স্যান্টনার ২ এবং টিম সাউদি, ইশ সোধি, লকি ফার্গুসন ও জিমি নিশাম নেন ১টি করে উইকেট।

সোমবার সিরিজের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। যে ম্যাচে থাকবেন না নিউজিল্যান্ডের এ দুই ম্যাচের অধিনায়ক টিম সাউদি।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com