তোমার থেকে বড় সুপারস্টার কেউ ছিল না, আসবেও না: ম্যাশ
‘ফুটবল ঈশ্বর’খ্যাত ডিয়েগো ম্যারাডোনা গোল বলের মাঠে আর ফিরবেন না। আর তাকে দেখা যাবে না ভিআইপি গ্যালিতে। কিংবা তরুণ ফুটবলারদের উৎসাহিত করতে। তবু পরপারে থেকেও বিশ্বের কোটি কোটি ফুটবলপ্রেমী আর খেলোয়াড়ের মনের মণিকোঠায় বিরাজ করবেন ‘হ্যান্ড অব গড’ খ্যাত এই মহাতারকা।
খেলোয়াড়ি জীবনে ম্যারাডোনা ছিলেন ফুটবল দুনিয়ায় ভক্তদের কাছে এক আসক্তির নাম। যিনি কিনা দশকের পর দশক বিশ্ব ফুটবল অঙ্গনকে মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছেন নিজের ক্যারিশমাটিক খেলা, বিতর্কিত ঝাঝালো মন্তব্য কিংবা বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে। তারপরও সবকিছুকে ছাপিয়ে প্রজন্মের পর প্রজন্ম তার জনপ্রিয়তা শুধু বেড়েছেই।
প্রিয় তারকার মৃত্যুতে গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনেও শোকের ছায়া নেমেছে। ক্রিকেট-ফুটবল থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের খেলোয়াড়রা শোক প্রকাশ করছেন। সাংসদ ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তোজাও তাদেরই একজন।
গতকাল বুধবার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ম্যারাডোনা না ফেরার দেশে পাড়ি জমানোর পর এমন খবরে শোকে মুষড়ে পড়েছেন ম্যাশ।
১৯৮৬ সালে এক কথায় একাই আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দেয়া সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে মাশরাফি লিখেছেন- ‘শোকের পরে শোক চলছে। তোমার থেকে বড় সুপারস্টার আমার চোখে আর কেউ ছিল না, আর আসবেও না। তোমার বাঁ পায়ের আঁকা নিখুঁজ গোলের ছবিগুলো মনের ক্যানভাসে থেকে যাবে আজীবন। ভালো থেকো ওপারে যাদুকর, দ্য ড্রিবলিং মাস্টার। ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা।’
মাশরাফি নিজেও ম্যারাডোনার ভক্ত হয়েই আর্জেন্টিনার সমর্থক হয়ে উঠেছিলেন।
একবার এক সাক্ষাৎকারে ম্যাশ বলেছিলেন, ‘আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করার একটাই কারণ- ম্যারাডোনা। তবে আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করি বলে অন্য দলকে অসম্মান করার মতো মানসিকতা নেই আমার। বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বকাপে না খেলা পর্যন্ত আমি আর্জেন্টিনাকে সাপোর্ট করবো। সামনের বিশ্বকাপে হয়তো মেসি থাকবে না। তবে যে-ই থাকুক, আমার সাপোর্ট আর্জেন্টিনার দিকেই থাকবে। কারণ একটাই – ম্যারাডোনা।’