অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা সভায় বেগম জিয়ার মুক্তির দাবী।
ডিএল ডেস্ক: মহান ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ১০ই নভেম্বর সিডনির লাকেম্বাস্থ কহিনুর ফাংশন সেন্টারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত এই সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং গত ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় আহত নিহত এবং মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বীর মুক্তি যোদ্ধা ঢাকার সাবেক মেয়র জনাব সাদেক হোসেন খোকার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আলহাজ্ব লুৎফুল কবিরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন,আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সভাপতি জনাব মনিরুল হক জর্জ,বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাবেক আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃমোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ।সাবেক সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী স্বপন,ডাঃআব্দুল ওহাব বকুল,কুদরত উল্লাহ লিটন,আবুল হাসান,আলহাজ্ব মোঃনাসিম উদ্দিন আহম্মেদ, একে এম ফজলুল হক শফিক,ইয়াসির আরাফাত সবুজ,ডাঃ জাহিদুল ইসলাম,এসএম রানা সুমন,সেলিম লিয়াকত ,এএনএম মাসুম,আব্দুস সামাদ শিবলু, অনুপ আন্তনী গোমেজ,ইন্জিনিয়ার কামরুল ইসলাম শামীম, মোহাম্মদ জুমান হোসেন,জাকির হোসেন রাজু,কামরুল ইসলাম,মোঃ নাসির উদ্দিন,শফিকুল ইসলাম,আনিসুর রহমান,জাহিদ আবেদিন,আব্দুল করিম,গোলাম রাব্বানী,মোহাম্মদ মানিক,পংকজ বিশ্বাস,আরিফুল ইসলাম,পারভেজ আলম,মেহেদী হাসান মেহেদী,আশরাফুল ইসলাম,মোহাম্মদ মোতাহের হোসেন,মোহাম্মদ জসিম,সালাম খান,মোহাম্মদ মঈন,কাজী সাজেদুল ইসলাম ,আনিক হাসান,সামিউল মাহমুদ,ওয়ারিস মাহমোদ,মোহাম্মদ আলম সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ । মোঃদেলোয়ার হোসেন বলেন, ৭ইনভেম্বর বাংলাদেশের মানুষের যে রাজনীতি সেই রাজনীতিতে একটা মৌলিক পরিবর্তন এসেছিল। এই দিনে একাত্তর সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম, সেই স্বাধীনতাকে সুসংহত করার একটা ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা দেশপ্রেমিক সৈনিক ও জনগণ নিয়েছিল। এদিনে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত হওয়ার সুযোগ হয়েছিল। এ কারণে দিনটিকে আমরা সবসময় স্মরণ করে এসেছি, এ দিনটিতে আমরা স্বাধীনতার ঘোষক, বহুমাত্রিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা যিনি পুনরায় প্রবর্তন করেছিলেন সেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। কিন্তু আজ আওয়ামীলীগ অবৈধভাবে ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে বিএনপিকে ধবংস করার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সকল অবৈধ রায় দিয়ে তাকে নির্বাচন থেকে দূরের রাখার সকল ব্যবস্থা কায়েম করছে। মনিরুল হক জর্জ বলেন,আওয়ামী লীগ মনে করছে আইন আদালতকে ব্যবহার করে একের পর মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বিএনপির নেতৃত্ব শূন্য করবে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সঠিক নির্বাচনের মাধ্যমেই প্রমান করবে বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক জনগনের দল এবং জিয়াউর রহমানের আদর্শই আমাদের একমাএ লক্ষ্য। মোঃমোসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ,বলেন,অবৈধ ক্ষমতাসীনরা জনগণের দাবি মানছে না। ৭ দফা দাবিকে অগ্রাহ্য করেই একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। চিরস্থায়ীভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্যই বছরের পর বছর ধরে মিথ্যা মামলা-মোকদ্দমা-গ্রেফতার-হত্যা-গুপ্তহত্যা-ক্রসফায়ারের মতো পৈশাচিক নির্মমতাকে কাজে লাগানো হয়েছে বিরোধী দল দমনে। ওরা জনগণকে ভয় পায় বলেই দেশের বিপুল জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে। সভাপতির বক্তব্যে মো.আলহাজ্ব লুৎফুল কবির বলেন,আওয়ামীলীগ জনগণকে ভয় পায় বলেই দেশের বিপুল জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দি করে রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও বানোয়াট মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। বিবেকশূন্য সরকার ও সরকারপ্রধানের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা না দিয়েই জরাজীর্ণ, পরিত্যক্ত ও বাসানুপযোগী কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন । অনুষ্ঠানটি সাবলীলভাবে যৌথভাবে পরিচালনা করেন হাবিব রহমানও আব্দুল্লাহ আল মামুন।