নুরদের কোতয়ালীর মামলার প্রতিবেদন ১৭ ডিসেম্বর

0

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ৬ জনের কোতয়ালী থানায় দায়ের করা ধর্ষণ, অপহরণ ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।  

বুধবার (২৫ নভেম্বর) এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।কিন্তু এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান প্রতিবেদন দাখিল করেননি। তাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এই দিন ধার্য করেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। এছাড়া তিনিই লালবাগ থানায় একই আসামিদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।  

এ মামলায়ও ওই ছয়জনকেই পৃথক পৃথক অভিযোগে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলাটিতে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় হাসান আল মামুনের বিরুদ্ধে। তবে এই মামলায় ধর্ষণের অভিযোগ বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগের বিরুদ্ধে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গড়ে উঠা এই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন। ডাকসুর সাবেক ভিপি নুর একই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক। এছাড়া অন্য আসামিরাও সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী।  

মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণ, এরপর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।  

জানা গেছে, মামলাটিতে দুইটি ধারা উল্লেখ করা হয়েছে। একটি অভিযোগ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এবং আরেকটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।

মামলার ছয় আসামি হলেন- বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ (২৮), একই সংগঠনের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন (২৮), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরু (২৫), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম (২৮), বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নাজমুল হুদা (২৫) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহিল বাকী (২৩)। এর মধ্যে নাজমুল হাসান সোহাগ, সাইফুল ও নাজমুল হুদা কারাগারে আছেন।  

মামলায় ঘটনার দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিট থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। স্থান উল্লেখ করা হয়েছে, কোতোয়ালি থানা এলাকার সদরঘাট হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট।

গত ২১ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় নুরসহ এই ছয়জনকে আসামি করা হয়। পরে ওই মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নামলে ভিপি নুরসহ ছয়জনকে আটক করে পুলিশ। অবশ্য ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com