পিকে হালদারকে দেশে ফেরাতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট
সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে যাওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পিকে হালদার) দেশে ফেরাতে এবং গ্রেফতা করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে দুদক চেয়ারম্যানকে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিসেস লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পিকে হালদার দেশে ফিরতে চান বলে হাইকোর্টকে জানালেও পরবর্তীতে তিনি আর ফেরেননি। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে তাকে গ্রেফতারের জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশনের (ইন্টারপোল) সহযোগিতা চাওয়া হবে বলে গত মঙ্গলবার জানিয়েছিলেন দুদক আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘পিকে হালদার হাইকোর্টকে ধোঁকা দিয়েছেন। কাজেই আমাদের (দুদক) কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। এজন্য খুব দ্রুত দুদকের পক্ষ থেকে পিকে হালদারকে গ্রেফতারের জন্য ইন্টারপোলের কাছে চিঠি পাঠানো হবে।’
প্রসঙ্গত, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ১৫শ’ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে। এছাড়াও সব মিলিয়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে একের পর এক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ সময় গোপনে কানাডায় পাড়ি জমান তিনি।