পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করছে ভারত: কাবুলের অস্বীকার

0

আফগানিস্তানের সরকার অন্য কোন দেশের বিরুদ্ধে তাঁর দেশের মাটিকে ব্যবহারের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে অন্য দেশের বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহারের ব্যাপারে পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

বিবৃতিতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে, কোনো দেশের বিরুদ্ধে নাশকতামূলক তৎপরতা চালানোর জন্য আফগানিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহারের সুযোগ কাবুল সরকার কাউকে দেবে না। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী এবং দেশটির সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ইফতেখার বাবর সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হামলা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন পাকিস্তান ও আফগানিস্তান প্রায়ই একে অপরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তাদের ভূমি ব্যবহারের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ উত্থাপন করে। সম্প্রতি পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি তার দেশের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চালাতে আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহারের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করেছেন।

এদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ সপ্তাহে আফগানিস্তান সফরে যাবেন বলে কথা রয়েছে। কাবুল সফরে গিয়ে তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং তালেবানের সঙ্গে শান্তি আলোচনার বিষয়ে দেশটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান উভয়ই নানা বিষয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করার কারণে দু’দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা চলে আসছে। এ উত্তেজনা দু’দেশের সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

পাকিস্তানের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা পাকিস্তানের জাতীয় স্বার্থকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করছে। যদিও আফগানিস্তানের সরকার পাকিস্তানের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ রাজা মাজেদ জাভেদ আলী বেহতি বলেছেন, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা এবং আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা বিভাগ পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে এবং এভাবে তারা ইসলামাবাদ সরকারকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।

আফগানিস্তান সরকার সবসময়ই পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের লালনভূমি হিসেবে অবিহিত করে ওই দেশটিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন সহিংস ঘটনাকে সে দেশে তারপর সন্ত্রাসীদের প্রতি ইসলামাবাদের সমর্থনের ফল বলে প্রচার চালায়। অনেক বছর ধরেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে অবিশ্বাস বজায় রয়েছে। এই অবিশ্বাস ও উত্তেজনা কমিয়ে আনার জন্য দুদকের কর্মকর্তারা অনেক সফর বিনিময় করেছেন কিন্তু তাতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে খুব একটা কাজে আসেনি। এ অবস্থান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন কাবুল সফর গুরুত্বপূর্ণ বলে অনেকে মনে করছেন।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com