সাইপ্রাস সমস্যা সমাধানে এরদোগানের প্রস্তাব
বিরোধ নিরসনে সাইপ্রাসকে দুই দেশে ভাগ করার প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। রোববার সমুদ্রসৈকত ভারোশাতে পিকনিক করতে গিয়ে তিনি এ প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাব অনুসারে, গ্রিকভাষীদের প্রধান্য যেখানে সেই দক্ষিণ সাইপ্রাস ও তুর্কিদের প্রাধান্যের উত্তর সাইপ্রাস আলাদা দেশ হোক।
১৯৭৪ সাল থেকে উত্তর সাইপ্রাস তুরস্কের অধীনে আছে। সেখানে তুরস্কপন্থী সরকার আছে।
তুরস্কের উত্তর সাইপ্রাস অভিযানের ৩৭ তম বার্ষিকীতে এরদোগানের প্রস্তাব, ‘সাইপ্রাসে দুই ধরনের মানুষ বাস করেন। দুইটি আলাদা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা আছে। তাই সার্বভৌমত্ব ও সাম্যের ভিত্তিতে দুইটি আলাদা দেশের আলোচনা শুরু হোক।’
নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে ইইউ
এরদোগানের উত্তর সাইপ্রাস সফর ও এই মন্তব্য নিয়েও বিতর্ক হচ্ছে। সাইপ্রাস জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি তুরস্কের কোনো শ্রদ্ধা নেই। ইউরোপীয় নীতি ও মূল্যবোধও তারা মানে না। ইইউ’র প্রতিও তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
সম্প্রতি সমুদ্রে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান নিয়ে গ্রিস ও সাইপ্রাসের সাথে তুরস্কের ঝামেলা হয়েছে। তুরস্ক পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানকারী জাহাজ পাঠিয়ে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইইউ জানিয়েছে, বেআইনিভাবে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান করায় আগামী মাসে তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে।
বিলাসবহুল রিসোর্ট থেকে ভুতুড়ে শহর
১৯৭৪ সালে গ্রিসের সামরিক শাসকরা সাইপ্রাসে অভ্যুত্থান ঘটায়। তার প্রতিক্রিয়ায় উত্তর সাইপ্রাস অভিযান চালায় তুরস্ক। জাতিসঙ্ঘ তাকে বেআইনি আখ্যা দিয়েছে। গ্রিস বলছে, তুরস্কের উদ্দেশ্য, পুরো সাইপ্রাস দখল করে নেয়া।
১৯৮৩ সালের ১৫ নভেম্বর টার্কিশ রিপাবলিক অফ নর্দান সাইপ্রাস (টিআরএনসি) গঠিত হয়। তারপরই ভারোশার ভোলবদল হয়। একদা যে সমুদ্রসৈকত ছিল বড়লোক ও বিখ্যাত লোকেদের অন্যতম পছন্দের জায়গা, তা ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়। বড় বড় বিলাসবহুল রিসোর্ট, হোটেল এখন ভেঙে পড়েছে। গত ৮ অক্টোবর তুরস্কের সেনা ভারোশাকে আংশিকভাবে খুলে দেয়।
সূত্র : ডয়চে ভেলে