উড়ন্ত শুরুর পরও যেসব কারণে ভারতের কাছে বাংলাদেশের হার

0

ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে পারলেই ঐতিহাসিক সিরিজ জিততেন টাইগাররা। তবে রাজকোটে সেই সুযোগ হারিয়েছেন তারা। বৃহস্পতিবার শুরুটা দুর্দান্ত করে বাংলাদেশ। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনাররা। তবে এর পরের গল্পটা ঠিক হতাশার। ৮ উইকেটে হেরে যার পরিসমাপ্তি ঘটে।

দুরন্ত জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা এনেছে ভারত। তো ঠিক কোন কোন জায়গায় টিম ইন্ডিয়ার চেয়ে পিছিয়ে গেল বাংলাদেশ? সেসবের উত্তর অনুসন্ধানে সামান্য প্রয়াস চালানো হলো-

* টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখ। তবে সেই রেশটা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি তারা। পরের ব্যাটসম্যানরাও ব্যাটিংয়ে জ্বালানি জোগাতে পারেননি। ফলে বড় স্কোরও গড়া হয়নি টাইগারদের।স্বভাবতই ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে পারেননি তারা।

* আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ দলে নেই সাকিব আল হাসান। পারিবারিক কারণে নেই তামিম ইকবাল। ইনজুরিতে সফরে যেতে পারেননি তারকা পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। এ ম্যাচে তাদের অভাব কেউ পূরণ করতে পারেননি।

* প্রথম ম্যাচে জয়ের নায়ক ছিলেন মুশফিকুর রহিম। এ ম্যাচে ব্যর্থ হন তিনি।তার ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরতাই সফরকারীদের ডুবিয়েছে। অধিকন্তু অপর নির্ভরতার প্রতীক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। দারুণ খেলতে থাকা এ ব্যাটার ব্যাটিং ইনিংস শেষ করতে পারলে রান আরো ১৫,২০টা বেশি হতে পারত। সেক্ষেত্রে স্বাগতিকদের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া যেত।

* টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শেষ কয়েক ওভার দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। ডেথ ওভারে তুলতে হয় চার-ছক্কার ঝড়। এতো দূরের কথা, ১৮.৩ ওভারে মাহমুদউল্লাহর আউটের পর শেষ ৯ বলে ওঠে মাত্র ১১ রান। ফলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়া যায়নি।

* দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ইনিংসে ৩৮টি ডট বল খেলেছে বাংলাদেশ। ১২০ বলের ম্যাচে ৩৮ বলই ডট খেলেছেন সফরকারীরা। টি-টোয়েন্টির খেলায় যা অবিশ্বাস্য বটে!

* জয়ের জন্য ভারতের লক্ষ্য ছিল ১৫৪ রান। এ রান নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে পাওয়ার প্লেতেই ভারতের টপঅর্ডারের উইকেট তুলে নিতে হতো। তবে সেটা করতে পারেননি মোস্তাফিজ-শফিউল-আল আমিনরা। উল্টো রোহিত-ধাওয়ানের কাছে বেধড়ক মার খেয়েছেন তারা।

* পেসারদের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্পিনাররাও ভেল্কি দেখাতে ব্যর্থ হন। একমাত্র আমিনুল ইসলাম ছাড়া কেউই উইকেট শিকার করতে পারেননি। ভারতীয় দুই ওপেনারকে সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। এছাড়া আফিফ ও মোসাদ্দেক টলাতে পারেননি প্রতিপক্ষের কোনো ব্যাটসম্যানকেই। সর্বোপরি, শক্তিমত্তায় যোজন এগিয়ে ভারত। জিততে মরিয়া ছিল তারা।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com