ইয়াবার টাকায় অস্ত্র মজুদ

0

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সশস্ত্র শক্তি বাড়িয়ে চলেছে সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো। তারা ইয়াবার টাকায় সংগ্রহ করছে ভারি ও ক্ষুদ্র অস্ত্রশস্ত্র। এগুলোর মজুদ তৈরি করে তারা ভয়ঙ্কর পরিকল্পনায় অগ্রসর হচ্ছে। সিএমপির বাকলিয়া থানা পুলিশ বলছে, এরই মধ্যে তারা এ রকমের তৎপরতায় যুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি নগরীর নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে বিদেশি অস্ত্রসহ আবদুল রাজ্জাককে গ্রেফতার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে মো. কামাল নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ভয়ঙ্কর তথ্য পাওয়া গেছে। তারা জানিয়েছে, টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কিছু সন্ত্রাসী গ্রুপ ইয়াবার বিনিময়ে ভারি ও ক্ষুদ্র অস্ত্র সংগ্রহ করছে। ক্যাম্পে মাঝেমধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় এসব অস্ত্রই ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে ত্রিশের অধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ ও উপ-গ্রুপ সক্রিয় হয়েছে। তারা ইয়াবা ও মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার কিংবা ঠুনকো ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা মাঝেমধ্যেই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে। প্রয়োজনে তারা ক্যাম্পে অস্ত্রের মহড়া এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিজেদের শক্তি সম্পর্কে জানান দিচ্ছে। গ্রুপ ও উপ-গ্রুপগুলো ক্যাম্পে নিজেদের আরও শক্তিশালী করতে ভারি ও ক্ষুদ্র অস্ত্রের মজুদ গড়ে তুলছে। এ জন্য তারা চালু করেছে অস্ত্র সংগ্রহের নতুন ট্রেড। ট্রেডে যুক্ত হওয়া সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো আবদুল হাকিম ওরফে ডাকাত হাকিম বাহিনী,  নুর আলম বাহিনী, মাস্টার মুন্না বাহিনী, জকির বাহিনী, সেলিম বাহিনী, হাফেজ জাবের বাহিনী, মৌলভী আনাস বাহিনী, ইসলাম মাহমুদ বাহিনী, মাস্টার আবুল কালাম। গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো দেশের ভিতরে-বাইরে অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছে এবং তাদের কাছে মাদকের চালান পাঠিয়ে অস্ত্র সংগ্রহ করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কমপক্ষে ১০টি গ্রুপ এ ভয়ঙ্কর তৎপরতায় জড়িত।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com