দেশে-বিদেশে পালিয়ে থাকা ইয়াবা গডফাদাররা বীরদর্পে এলাকায় ফিরছে
দীর্ঘ সময় দেশে-বিদেশে পালিয়ে থাকা ইয়াবা কারবারিরা বীরদর্পে এলাকায় ফিরছেন। গেল (৩১ জুলাই) শামলাপুর পুলিশের তল্লাশী চৌকিতে পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর (অবঃ) মেজর সিনহা হত্যার আগেই তারা বন্দুকযুদ্ধে নিহত ও গ্রেফতার আতঙ্কে পালিয়ে ছিল।
মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পর আইনশৃংখলা বাহিনীর মাদক ও অপরাধ বিরোধী অভিযান শিথিল এবং পুলিশের ব্যাপক রদবদল হয়। এ সুযোগে পলাতক ইয়াবা কারবারিরা তাদের মাদক বাণিজ্য পুশিয়ে নিতে উৎসাহ-উদ্দীপনায় স্বস্ব স্থানে ফিরে আসছেন।
গেল বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফে একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে টেকনাফের ১০২ জন ও ২০২০ সালে চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজির উপস্থিতিতে ২১ জন মাদক কারবারি স্বেচ্চায় আত্বসমর্পণ করেছিলেন। ওই ইয়াবা কারবারিরা টেকনাফে মাদক অভিযান শিথিলের খবর শুনে মোটা অঙকের বিনিময়ে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হতে শুরু করেছে।
ইতমধ্যে প্রথম দফায় আত্বসমর্পণকারী ৫জন ইয়াবা ডন জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় ফিরেছেন। তাদের উদ্দেশ্যও একই। কথিত গায়েবী হামলার নামে নষ্ট করে দেওয়া ইয়াবা কারবারীদের আলিশান ঘরবাড়ি, শপিংমল পুনঃরায় মেরামতের কাজ চলছে। বর্তমানে টেকনাফে ইয়াবাডনদের অবাধ বিচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বলে মাদকবিরোধী সচেতন লোকজন জানান।
আত্বসমর্পণকারী ও পালিয়ে থাকা অনেকেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। তারা পুনরায় আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে সাধু সেজেই ভোটারদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। আবার মাদকে জড়িত পালিয়ে থাকা জনপ্রতিধিরা অনেকে স্থানীয় ভোটারদের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে হিমশিম খাচ্ছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, পালিয়ে থাকা ইয়াবা ডন ও জনপ্রতিনিধিরা একাদিক মামলার অভিযুক্ত আসামি হলেও বর্তমানে এলাকায় ফিরে রাজার হালতে বসবাস করছে। তাদের কেউ কেউ আবার দাবি করছেন প্রতিপক্ষরা তাদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলাবাহিনীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানি করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ইয়াবা কারবারিদের এভাবে প্রকাশ্যে অবাধে বিচরণ করলে অতীতের মত টেকনাফ হয়ে উঠবে ইয়াবার স্বর্গরাজ্যে। আইনশৃংখলার চরম অবনতি ঘটবে। সাধরণ লোকজনদের চলাফিরা ও ব্যবসা বাণিজ্যে চরম অবনতি হবে।
এ ব্যাপরে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মু. হাফিজুল ইসলাম জানান, আমি সবে মাত্র যোগদান করেছি। অপরাধীদের আটকের অভিযান চলছে। একইসঙ্গে অপরাধীদের রুখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।