নোয়াখালীতে বিধবা ধর্ষণ ও কিশোরী ধর্ষণের চেষ্টায় তিনজন আটক

0

নোয়াখালীর হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক এক বিধবা মুসলিম নারীকে (৩৯) ধর্ষণের অভিযোগে এক হিন্দু ফেরিওয়ালাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ওই বিধবা নারী বাদী হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।

আটক ধর্ষক ফেরিওয়ালা শ্রীবাস দেব নাথ (৪০) উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ফজরম মাঝি এলাকার সুনীল দেব নাথের ছেলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গামছাখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ গামছাখালী গ্রাম থেকে পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। তিনি আরো জানান, আটক ফেরিওয়ালা সাইকেলে করে ফেরি করে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাড়িতে বাদাম, মোয়া বিক্রি করত। বৃহস্পতিবার দুপুরে সে ফেরি করতে যায় দক্ষিণ গামছাখালী গ্রামে। ওই সময় বিধবা নারীর মা ঔষুধ কিনতে পাশের বাজারে ছিল। ছেলে বাহিরে কাজ করতে যায়। বিধবা নারী একা রান্না ঘরে রান্না করছিল। ফেরিওয়ালা বিধবা নারীকে ঘরে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বিধবা নারীর শৌর চিৎকারে বাড়ির লোকজন এসে ধর্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তিনি আরো বলেন, বিধবা নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

অপরদিকে, হাতিয়া উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে পুলিশ দুই যুবককে আটক করেছে। এ ব্যাপারে কিশোরী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাতিয়া থানায় ২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে।

ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটককৃতরা হলেন, উপজেলার নলচিরা ইউনিয়নের ফজরম মাঝি গ্রামের জাকের হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২০) ও একই এলাকার মো. শিপনের ছেলে আলা উদ্দিন (২২)।

জানাযায়, উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ফরাজী গ্রামের কিশোরী (১৬) মোবাইলে মনির হোসেন নামে এক যুবকের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে মনির ও তার বন্ধু আলা উদ্দিন বুধবার রাতে তাদের বাড়ীতে আসে। ওই সময় বাড়ীতে কিশোরীর বাবা-মা ছিলনা। কিশোরীর মা চিকিৎসার জন্য চট্রগ্রাম, তার বাবা ব্যবসায়ীক কাজে বাজারে অবস্থান করেছিল। বাড়ীতে একা পেয়ে মনির ও তার বন্ধু আলা উদ্দিন জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে কিশোরীর চিৎকারে বাড়ীর অন্যান্য ঘরের লোকজন এসে দুইজনকে ঘরের মধ্যে আটক করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীর বাড়ী থেকে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে কিশোরী বাদী হয়ে মনির ও আলা উদ্দিনকে আসামী করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করে।

তদন্ত পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি দাস জানান, ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আটক দুই যুবককেও বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com