বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে শাস্তি দেওয়াটা বিচার হীনতার একটি লক্ষণ: সুজন সম্পাদক
হাজী সেলিমপুত্র ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর (বর্তমানে বহিষ্কৃত) ইরফান সেলিমকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইরফান সেলিমের এক বছর কারাদণ্ড প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, কাউকে বরখাস্ত এবং শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিতে হলে তো তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। ন্যায় বিচারের খাতিরে এর কোন বিকল্প নেই।
সম্প্রতি দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে তিনি এসব কথা বলেন।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে, এতো দ্রুততার সাথে তড়িগড়ি বিচারিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এভাবে শাস্তি দেওয়াটা বিচার হীনতার একটি লক্ষণ।’
তিনি বলেন, এই ঘটনার যে ভিকটিম নৌবাহিনীর কর্মকর্তা তারা শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাই এখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এতে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু এতো দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার তো কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। এটা যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেই ব্যবস্থা নেয়া যেত।
সুজন সম্পাদক আরও বলেন, ‘অতীতের একটা কথা আমার মনে পড়ছে যে, ২০০৭ সালে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা কারেছিল ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ এর আমলে, ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। তখন হলফ নামার মাধ্যমে তথ্য দিতে হয় প্রত্যেক প্রার্থীকে, এই বিধানের ওপর সম্পূর্ণ একতরফা ভাবে আদালতের একটি শুনানির মাধ্যমে বিচারপতি জয়নুল আবেদীন এটার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সম্পূর্ণ একতরফা ভাবে। এটা সম্পূর্ণ পক্ষপাতদুষ্ট এবং জনস্বার্থ বিরোধী ছিল। আবারও আমরা দেখছি যে অতি তড়িগড়ি করা। এটা শুভ লক্ষণ নয়।’