বাংলাদেশের কাছে ভারতের হার, ট্রোলের শিকার শেবাগ
টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে মুখোমুখি লড়াইয়ে একতরফাভাবে এগিয়ে ছিল ভারত। ফেস টু ফেস আটবারের দেখায় একবারও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। জয়ের খুব কাছে গিয়েও ফিরে আসতে হয় দুইবার। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের চিত্র কারোরই ভুলার কথা নয়।
এক অর্থে অবজ্ঞা করে এ সিরিজের জন্য তারুণ্যনির্ভর দল ঘোষণা করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। যেখানে বিশ্রাম দেয়া হয় নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটি বিতর্কিত বিজ্ঞাপন বানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার স্পোর্টস। তাতে টাইগারদের ব্যঙ্গ করা হয়েছে। ব্যঙ্গাত্মক এ বিজ্ঞাপনে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভারতীয় সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ।
টি-টোয়েন্টিতে কখনই ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। মূলত সেটিকে থিম করে এ প্রমো ভিডিও বানিয়েছে স্টার স্পোর্টস। তাতে শেবাগকে বলতে শোনা গেছে, কোহলি না থাকতেই এত উড়ছে, যদি টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো জিতে যায়; তা হলে যে কি করবে কে জানে?
এরই মধ্যে সমুচিত জবাব পেয়ে গেছেন শেবাগ। তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। গেল রোববার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে তিন বিভাগেই সফরকারীদের কাছে উড়ে গেছেন স্বাগতিকরা। সিরিজে ব্যাকফুটে ভারত, আর ১-০তে এগিয়ে বাংলাদেশ।
এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে ট্রোলের শিকার হচ্ছেন বীরু। যে যার মতো করে তাকে ধুয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা। একের পর এক মিমি বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন তারা। আল নাঈম লিখেছেন, হ্যালো শেবাগ, বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে গেছে। এখন আপনি কী করবেন? নাটক অথবা টুইট?
অর্নব তানভীর লিখেছেন, বীরেন্দ্র শেবাগ কোথায়? এ.এন.এম মর্তুজা লিখেছেন, অভিনন্দন বিসিবি টাইগার্স। বিসিসিআই’র বিপক্ষে প্রথম জয়। হাই শেবাগ! বাংলাদেশ থেকে আমার ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। সৌরভ মণ্ডল লিখেছেন, এসব বিজ্ঞাপন করা বাদ দিন শেবাগ পাজি।