সিন্ডিকেটে কারসাজিতে বেসামাল নিত্যপণ্যের বাজার

0

নিত্যপণ্যের সিন্ডিকেটে কারা?

অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে বেসামাল নিত্যপণ্যের বাজার। দামের চাপে জেরবার সাধারণ ক্রেতারা। করোনার কারণে চাপে পড়া সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো কঠিন করে তুলেছে নিত্যপণ্যের মূল্য। পিয়াজ থেকে শুরু করে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, মরিচ, ডিম ও সব ধরনের সবজি কিনতে ভোক্তাকে বাড়তি টাকা গুনতে হচ্ছে। বাজারে সরবরাহ থাকলেও ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি পিয়াজ দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে ভোক্তাকে। ২০-২২ টাকার আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০-৫৫ টাকা। ৫০ থেকে ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। এর মধ্যে চালের দাম কমাতে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও বাজারে এর প্রভাব তেমন একটা পড়ছে না।

বিশ্লেষকরা জানান, করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে অসাধু সিন্ডিকেট। সুযোগ বুঝে তারা বিনা কারণেই আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অশুভ চক্র চাল, পিয়াজ ও সয়াবিন তেলও সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু চালেরই ৪৩৬ জন মিল মালিক দাম বাড়ানোর কারসাজিতে জড়িত বলে মাঠ পর্যায়ের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। এরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের জড়িত বা প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কারও কারও রয়েছে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। শুধু কি চাল?  অন্যসব নিত্যপণ্যের বাজারও নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট। এসব সিন্ডিকেট যারা নিয়ন্ত্রণ করেন তারা প্রভাবশালী ব্যবসায়ী। ক্ষমতাসীন দলের পরিচয় বা এমপি, মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজন পরিচয়ে ব্যবসা করছেন তারা। এই ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কারণে
বাজারে বেসামাল অবস্থা। এতে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিজেদের স্বার্থ লুটতে এই মুনাফাখোর সিন্ডিকেট।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, যে বা যারাই নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট করে মুনাফা লুটছে তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

তুমি এটাও পছন্দ করতে পারো

উত্তর দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না.

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com